প্রতিবেদন : চিকিৎসক, তবে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ নন। অথচ নিজেকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ বলে পরিচয় দিয়ে সরকারি হাসপাতালে চাকরি করলেন বহাল তবিয়তে। হার্টের অপারেশনও করে ফেললেন! একটা-আধটা অপারেশন নয়, ৫০টির বেশি অপারেশন। যাঁদের অপারেশন করা হল তাঁদের অনেকেরই পরিণতি মৃত্যু। একই রকমের জটিলতাও দেখা গেল কারও কারও। ঘটনাটা জানাজানি হতেই গা ঢাকা দিয়েছেন ভুয়ো হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। পরে অবশ্য পুলিশ জালে ফেলেছে এই প্রতারককে। অত্যন্ত উদ্বেগজনক এই ঘটনার সাক্ষী বিজেপিশাসিত হরিয়ানা। ফরিদাবাদের সরকারি হাসপাতালের এই ঘটনায় আবার প্রমাণিত হল বিজেপির শাসনে স্বাস্থ্য পরিষেবা কতটা প্রহসনে পরিণত হয়েছে। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে কীভাবে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রশ্ন উঠেছে, ৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে একজন সাধারণ চিকিৎসক হাসপাতালে হার্টের এতগুলো অপারেশন করে ফেললেন, আর কর্তৃপক্ষ কিছুই জানল না? নাকি এর পিছনে রয়েছে কোনও বড় মাথার খেলা? বিজেপির কোনও হেভিওয়েট?
আরও পড়ুন-কোচবিহারের বিজেপি-নেতা রাধাকান্ত যোগ দিলেন তৃণমূলে
ঠিক কীভাবে সম্ভব হল এত বড় মাপের প্রতারণা? প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অন্য এক হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের রেজিস্ট্রেশন সুকৌশলে ব্যবহার করেছিলেন ওই চিকিৎসক। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ পঙ্কজমোহন শর্মার নাম ভাঁড়িয়ে ধোঁকা দিচ্ছিলেন অসহায় মানুষকে। পঙ্কজমোহনের কানে কথাটা যেতেই প্রতারক ডাক্তার এবং সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানান তিনি। এক রোগীই শনিবার প্রকাশ্যে আনেন বিষয়টি।