নয়াদিল্লি : ভুয়ো এনকাউন্টারেই (Fake Encounter) মেরে ফেলা হয়েছে হায়দারবাদ ধর্ষণে অভিযুক্ত চার যুবককে। এমনই রিপোর্ট পেশ করল সিরপুরকর কমিশন। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) শুক্রবার এই রিপোর্ট জমা পড়েছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে হায়দরাবাদে এক যুবতী গণধর্ষণের শিকার হন। তিনি পেশায় ছিলেন পশু চিকিৎসক। পরে তাঁকে পেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। অভিযুক্ত চার যুবক পুলিশের গুলিতে মারা যায়। বলা হয়, পালাতে গিয়ে সংঘর্ষে মারা গিয়েছে তারা। যদিও ওই সংঘর্ষ ভুয়ো ছিল, এমন অভিযোগ ওঠে। যার জেরে তদন্ত করার জন্য সিরপুরকর কমিশন গঠিত হয়। সেই রিপোর্টই এদিন জমা পড়ল। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ রিপোর্টটি মুখবন্ধ খামে রাখার জন্য তেলেঙ্গানা সরকারের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে। শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) নির্দেশ, রিপোর্টের প্রতিলিপি মামলার সমস্ত পক্ষকে দেওয়া হবে। সমস্ত রেকর্ড তেলেঙ্গানা হাইকোর্টে পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন বিচারপতিরা। এই রিপোর্টের উপর কোনও পাল্টা আবেদন জমা পড়লে হাইকোর্ট পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। সিরপুরকর কমিশন জড়িত পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এনকাউন্টারের (Fake Encounter) অভিযোগ মিথ্যা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, অভিযুক্তদের ইচ্ছাকৃতভাবে মারতে গুলি করা হয়েছিল। এই তদন্ত প্যানেলের নেতৃত্বে ছিলেন শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন বিচারপতি ভি এস সিরপুরকর। অন্য সদস্যরা হলেন বম্বে হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি রেখা বালদোতা এবং কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর প্রাক্তন ডিরেক্টর ডি আর কার্তিকেয়ান৷
আরও পড়ুন: আমিরের প্রশ্ন, আইপিএলে সুযোগ আছে? ফুটওয়ার্ক ঠিক করো, পাল্টা শাস্ত্রীর