প্রতিবেদন : ফের রেলের উদাসীনতা। ব্যস্ত সময়ে চরম দুর্ভোগে পড়লেন যাত্রীরা। এবার শিরোনামে কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro)। ঘড়িতে তখন সকাল ৯.৫০ মিনিট। কলকাতার অন্যতম লাইফলাইন দক্ষিণেশ্বরগামী মেট্রো তখন যাত্রী নিয়ে ছুটছে। হঠাৎই বেজে উঠল প্যাসেঞ্জার অ্যালার্ট অ্যালার্ম। ব্যস্ত সময়ে থমকে গেল মেট্রো। বিপদের আঁচ করে ছুটে এলেন নিরাপত্তারক্ষী থেকে বাকি যাত্রীরা। কিন্তু কোথায় কী! জানা গেল এক যাত্রী নেহাতই খেয়ালের বশে ওই সুইচ টিপে দিয়েছেন! কিন্তু কে সেই জনৈক ব্যক্তি? তাঁকে এখনও ধরতে পারেনি আরপিএফ। মেট্রোয় আত্মহত্যা তো এখন রোজনামচা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর জেরে নাকি বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা। আঁটোসাঁটো করা হয়েছে হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কিন্তু তার পরেও এই ছেলেমানুষী ঘটে চলেছে। আর সেই বিষয়গুলি রুখতে ব্যর্থ মেট্রো (Kolkata Metro) কর্তৃপক্ষ। যেখানে মেট্রো স্টেশনগুলি সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে, সেখানে রেকের ভিতর কে এই কাজ করল তা ধরা সম্ভব হল না কেন? এত আধুনিক রেক এনে লাভ কী হচ্ছে! যদি এইরকম অপরাধকে শনাক্তই করা না যায়? ব্যস্ত সময়ে নিত্যযাত্রীদের এই হয়রানির মাশুল দেবে কে? এই ঘটনায় মেট্রো পরপর দেরিতে ছাড়ায় তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন- আইএনটিটিইউসির হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু, প্রথম প্রকাশ হল দুর্গাপুরে