কমল মজুমদার জঙ্গিপুর : প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী বা ক্রীড়ামন্ত্রী হতে গেলে বসতে হবে পরীক্ষায়। সফল হলে তবেই দাঁড়ানো যাবে নির্বাচনে। জিতলে মিলবে পদ। ব্যাপারটা অবান্তর মনে হলেও মুর্শিদাবাদ জেলার ৩০ নম্বর আণ্ডিরণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমনটাই ঘটে। আজ স্কুলের প্রায় ১৮৭ জন ছাত্রছাত্রী (School Student) বসতে চলেছে মন্ত্রী হওয়ার পরীক্ষায়। প্রধানশিক্ষক বিশ্বজিৎ দত্ত বলেন, ‘২০১২-য় রাজ্য শিক্ষা দফতর এবং সর্বশিক্ষা মিশন একটি নির্দেশ জারি করে প্রত্যেক স্কুলে শিশু সংসদ নির্বাচন এবং ক্যাবিনেট মন্ত্রী নির্বাচন করতে বলে। রাজ্যের বেশিরভাগ স্কুলে নির্বাচনের পরিবর্তে মনোনয়নের ভিত্তিতে হয়ে থাকে। নির্বাচনে লড়াই এবং কোনও পদ পাওয়ার জন্য যে যোগ্যতার দরকার হয়, সেই বিষয়টি ছোট থেকেই বোঝানোর জন্য নির্বাচন চালু রয়েছে। এতে অংশ নিতে গেলে পরীক্ষায় বসতে হয়। যারা সর্বোচ্চ নম্বর পায় তারাই ভোটে লড়ার অধিকার পায়। যারা জয়ী হবে তারা হবে মন্ত্রী, পরাজিতরা প্রতিমন্ত্রী।’
আরও পড়ুন – ফের শুরু মধু সংগ্রহ, মউলেদের ১ লক্ষের সরকারি বিমা
শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, প্রত্যেক প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রী, পরিবেশ ও শিক্ষামন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি মন্ত্রীর পদ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী স্কুলের দৈনন্দিন সমস্ত বিষয়ে লক্ষ্য রাখে। খাদ্যমন্ত্রী মিডডে মিল, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছাত্রছাত্রীরা (Student School) নখ, চুল কাটছে কিনা এবং ‘বেসিক হাইজিন’ মেনে চলছে কিনা, পরিবেশমন্ত্রী স্কুলপ্রাঙ্গণ পরিষ্কার রাখার বিষয়টি আর ক্রীড়া ও সংস্কৃতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পড়ুয়ারা শরীর-স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখছে কিনা সেটা দেখা।
বিশ্বজিৎবাবু বলেন, ‘আমার স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের ৪০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হয়। পাস করলে নির্বাচনে লড়ার যোগ্য হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর জন্য এই পরীক্ষা হয় মৌখিক।’ শনিবার, ২৩ এপ্রিল আন্ডিরণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা হতে চলেছে। মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই ক্যাবিনেট গঠিত হবে।