সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় যখন রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে ঢেলে সাজাচ্ছেন, তখন প্রশাসনিক উদাসীনতায় বন্ধ হয়ে পড়ে আছে ফরাক্কা ডিয়ার ফরেস্ট। জাতীয় নদী গঙ্গা উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড পেরিয়ে বাংলায় প্রবেশ করেছে ফরাক্কা দিয়েই। গঙ্গা অববাহিকার ডানদিকে ফরাক্কা ব্যারেজ কলোনির প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে এটি গড়ে তোলেন ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। এলাকার সৌন্দর্য উপভোগ ও বনভোজন কেন্দ্র তৈরির উদ্দেশ্য সফল হয়। দূরদূরান্তের পর্যটকরা বেড়াতে আসতেন।
শীতে পিকনিক স্পট হিসেবে জনপ্রিয় হয়। ২০০৩-এ জেলা পরিষদ ও বন দফতর যৌথ উদ্যোগে ‘ডিয়ার ফরেস্ট” হিসেবে গড়ে তোলে। আবুল হাসনাত খান তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে ১৯ লক্ষ টাকা দেন। হরিণের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সুপ্রিম কোর্টের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে আদেশের বলে নাম রাখা হয় ‘ফরাক্কা হরিণ বংশবিস্তার ও প্রজনন কেন্দ্র’। হরিণের সংখ্যা বেড়ে হয় ৬৫। সমস্যার শুরু ২০০৯ থেকে। জেলা পরিষদ হরিণদের খাবারের টাকা দিত বন দফতরকে। বন দফতর খরচের হিসেব না দেওয়ায় টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয় তারা। ফলে হরিণের খাবারে টান পড়ে। কয়েকটি হরিণের মৃত্যু হয়। সংখ্যা কমে আসে ১৭-য়। পরে তাদের উত্তরবঙ্গ মহানন্দা অভয়ারণ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-পাহাড়ের নৈসর্গিক দৃশ্য ফ্রেমবন্দি , রাস্তার দোকানে মোমো তৈরি: দার্জিলিঙে অন্য আমেজে মুখ্যমন্ত্রী
এরপর থেকেই ভগ্নদশায় এই ফরেস্ট। প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান মনোরঞ্জন ঘোষ জানান, ‘মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে মূল্যবান গাছ বিক্রি হয়ে গিয়েছে। নতুন করে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুললে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ ঘটবে। এলাকার অর্থনৈতিক বুনিয়াদ মজবুত হবে।’ ফরাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের নো অবজেকশন সার্টিফিকেট না মেলায় নতুন করে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে।’