৫ জুন ২০২০তে প্রথম তিনটি নতুন কৃষি আইনের প্রস্তাব আনা হয়, যেখানে কৃষিক্ষেত্রের মধ্যে ব্যবসায়ীরাও হস্তক্ষেপ করবে।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ পার্লামেন্টে অধ্যাদেশ আনা হয়।
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ লোকসভায় পাশ হয়।
২০ সেপ্টেম্বর রাজ্যসভায় ধ্বনি ভোটে পাশ হয়।
২৫ নভেম্বর ২০২০ দেশ জুড়ে কৃষি আইনের বিরোধিতাকরেই দিল্লি অভিযানের ডাক দেন উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরা। কৃষকদের লক্ষ্য করে জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ও ছোড়া হয়।
২৮ নভেম্বর ২০২০ বিক্ষুব্ধ কৃষকদের আলোচনার প্রস্তাব দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেন কৃষকরা।
২৯ নভেম্বর ২০২০ প্রধানমন্ত্রী তাঁর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে বলেন, যাঁরা কৃষকদের উসকানি দিচ্ছেন তাঁরা কৃষকদের জন্য কিছু করেননি।
৩ ডিসেম্বর ২০২০ প্রথমবারের জন্য মুখোমুখি বৈঠকে বসেন কৃষক এবং কেন্দ্র। দ্বিতীয় বৈঠকও হয়। কোনও রফা- সূত্র মেলেনি।
৮ ডিসেম্বর ২০২০ ভারত বন্ধের ডাক দেন কৃষকরা।
১১ ডিসেম্বর ২০২০ কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় কৃষক সংগঠনগুলি।
২৬ জানুয়ারি ২০২১ কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষকরা ট্র্যাক্টর মিছিল করেন। সেখানেই পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। লালকেল্লাতে উঠে বিক্ষোভকারীদের একাংশ জাতীয় পতাকা নামিয়ে নিশান সাহিবের পতাকা উত্তোলন করে।
পুলিশ লাঠি, কাঁদানে গ্যাস চালায়। মৃত্যুও হয় এক কৃষকের।
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ কৃষকদের সমর্থনে কথা বলার জন্য দেশের বিদ্বজ্জনদের নিন্দা করা হয় কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বেঙ্গালুরুর ২১ বছর বয়সি পরিবেশ কর্মী দিশা রবিকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ।
২৭ মে ২০২১ আন্দোলনের ৬ মাস পূর্ণ হওয়ার পর কালাদিবস পালন করা হয় কৃষকদের পক্ষ থেকে।
ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েত তখন জানান, দরকার হলে মোদি সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। জুলাই মাসে সংসদে বাদল অধিবেশন শুরু হয়। ২০০ জন আন্দোলনকারী কৃষক সংসদ ভবনের বাইরে কিসান সংসদ বসিয়ে সমান্তরাল বাদল অধিবেশন চালান।
৭ অগাস্ট ২০২১ দেশের ১৪টি বিরোধী দলের নেতা দিল্লির যন্তরমন্তরে কৃষকদের কিসান সংসদে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। রাহুল গান্ধী কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে বেশ কয়েকটি বিরোধী দলকে একজোট করে কৃষকদের সমর্থনের সিদ্ধান্ত নেন।
২৮ অগাস্ট ২০২১ হরিয়ানার কার্নালে কৃষকদের উপর লাঠি চালায় পুলিশ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপির একটি বৈঠককে কেন্দ্র করে জাতীয় সড়কে বিক্ষোভ দেখান কৃষকরা। পুলিশের লাঠির আঘাতে জখম হন বহু কৃষক। আইএএস আয়ুষ সিংহের বিতর্কিত মন্তব্যকে ঘিরে তাঁর সাসপেনশনের দাবি ওঠে।
১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ কৃষক বনাম কার্নাল প্রশাসনের টানাপোড়েনে পিছু হটে হরিয়ানা সরকার।
৩ অক্টোবর ২০২১ উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলের গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় চার কৃষক-সহ মোট আটজনের।
মন্ত্রীর ছেলে আশিস মিশ্রর গাড়ি পুড়িয়ে দেন কৃষকরা।
১০ অক্টোবর ২০২১ লখিমপুরকাণ্ডে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলের ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ।
১৯ নভেম্বর ২০২১ জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নতি স্বীকার। এরপর তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা।