পূর্ণেন্দু রায়, নয়াদিল্লি : কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রকে বরখাস্ত ও গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার দেশব্যাপী রেল রোকো কর্মসূচির ব্যাপক প্রভাব পড়ে উত্তর ভারতের ট্রেন চলাচলের ওপর। সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টে পর্যন্ত রেলরোকো কর্মসূচির ঘোষণা করেছিল কৃষকদের তিনটি ৪০টি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ সংযুক্ত কিসান মোর্চা (এসকেএম)। রেলরোকো কর্মসূচি ঘোষণা করে এক বিবৃতিতে এসকেএম বলেছিল, যতদিন না লখিমপুর খেরি মামলায় ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে, ততদিন পর্যন্ত বিক্ষোভ আরও তীব্র হবে।
আরও পড়ুন : দ্রাবিড়ের উত্তরসূরির খোঁজ, বোর্ডের প্রস্তাব ফেরালেন লক্ষ্মণ
সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সব রুটে ছ’ঘণ্টা রেল চলাচল বন্ধ ছিল। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লখিমপুরকাণ্ডে নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রকে বরখাস্ত ও গ্রেফতার করতে হবে। ওই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে পদে বহাল রেখে লখিমপুর খেরি হত্যাকাণ্ডে সুবিচার পাওয়া সম্ভব নয়। আগেই এসকেএম তাদের বিবৃতিতে আবেদন করেছিল শান্তিপূর্ণভাবে এবং রেলওয়ে সম্পত্তির ক্ষতি না করে রেলরোকো কর্মসূচি পালন করতে।
কৃষকদের রেলপথ অবরোধের প্রভাব পরে মূলত উত্তর রেলওয়ের চারটি সেকশনে। দিল্লি-রোহতক এবং দিল্লি-আম্বালা রুটে সকালেই ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেন কর্তৃপক্ষ। এই কারণে দূরপাল্লার অনেক ট্রেনের যাতায়াত বিঘ্নিত হয়। অনেক ট্রেন বাতিল করা হয়। উত্তর রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, বেরিলি থেকে নয়াদিল্লি হয়ে রোহাতক যাওয়ার ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়। নানাদেদ-শ্রীগঙ্গানগর এক্সপ্রেস দিল্লির তিলকব্রিজ স্টেশনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। ফিরোজপুর-লুধিয়ানা সেকশনের অজিতওয়াল, ফিরোজপুর-ফজিলকা সেকশনের গুরু হর্ষাই এবং ফিরোজপুর-লুধিয়ানা সেকশনের চৌকিমান-এ কৃষকদের অবরোধে ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। অন্তত সাতটি ট্রেনকে গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। এদিন সারা দেশে ২৯০টিরও বেশি ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে।