সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর : নিষেধাজ্ঞা নামেই। নাড়া পোড়ানো, মানে চাষজমিতে আগুন দেওয়ায় টানা যাচ্ছে না লাগাম। উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লিতে ভয়াবহ বায়ুদূষণ দেখা গিয়েছে এর জেরে। তা দেখেও মুর্শিদাবাদ জেলার সুতি ১ ব্লক জুড়ে নাড়া পোড়ানোর হিড়িকে দূষণসমস্যা বাড়ছেই।
আরও পড়ুন-টোটোয় হনুমানের মৌরসিপাট্টা, নিখরচায় সওয়ারি
বিঘের পর বিঘে ধানের জমিতে জ্বলছে আগুন! হুঁশ নেই কারও। ধানকাটার পর জমিতে নাড়াপোড়ানোয় নষ্ট হচ্ছে জমির উর্বরতা, বাড়ছে দূষণ। সুতি ১ ব্লকের বিস্তৃত মাঠে দেখা গেল এমনই অসচেতনতার ছবি। এ ছবি জেলার সর্বত্রই। শ্রমিকের অভাব, খরচ ও সময় বাঁচাতে চাষিরা ধান কাটার কাজে ব্যবহার করছেন কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন। ধান কাটার পর জমিতে রয়ে যায় খড়। তাতে আগুন লাগিয়ে জমি পরিষ্কার করে পুনরায় চাষ করার প্রস্ততি শুরু হয়েছে মাঠ জুড়ে। আগুনের তাপে জমিতে থাকা কেঁচো থেকে কীটপতঙ্গও ধ্বংস হচ্ছে।
আরও পড়ুন-সাইকেলে বিশ্বের ১৯১ দেশে এইডস রোখার বার্তা দিয়ে দু’যুগ পর ঘরে ফিরছেন সোমেন
কৃষি দফতর কৃষকদের সচেতনতায় প্রচার বা কর্মশালা করলেও বন্ধ করা যাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রশাসনের কাছে খবর আসতেই নাড়া পোড়ানো বন্ধ করতে বিভিন্ন জায়গায় ছুটলেন কৃষি কর্মকর্তা ও পুলিশ কর্তারা। কৃষকদের সচেতন করলেন তাঁরা। গ্রামবাসীদেরও। সুতি ১ নম্বর ব্লকের বিডিও অরূপকুমার সাহা বলেন, খবর পেয়ে আহিরণ ফাঁড়ির পুলিশ আধিকারিককে সঙ্গে নিয়ে এডিএ ও পুলিশকর্তারা মাঠে মাঠে ঘুরেছেন। মাঠে আগুন দেখতে পেয়ে সচেতন করেন কৃষকদের, নাড়া পোড়ানো বন্ধের নির্দেশও দেন।