প্রতিবেদন : এবার ভারী বৃষ্টির অভাবে কাটোয়া ও পূর্বস্থলীর খালবিল, পুকুর, নালায় জল না থাকায় পাট পচানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। কাটোয়া ১ ব্লকে ১৭০, ২ ব্লকে ৪৬৫, কেতুগ্রাম ১ ব্লকে ৬৫, ২ ব্লকে ২১৫ এবং মঙ্গলকোটে প্রায় ৬০ হেক্টর জমি মিলিয়ে কাটোয়া মহকুমায় গড়ে ৯৭৫ হেক্টর জমিতে পাটচাষ হয়। আর পূর্বস্থলী ২ ব্লকের প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে হয় পাটচাষ। কাটোয়া ২ ব্লকের অগ্রদ্বীপ, জগদানন্দপুর, গাজিপুর পঞ্চায়েত এলাকায় পাটচাষ বেশি হয়। কেতুগ্রাম ২ ব্লকের সীতাহাটি, মৌগ্রাম অঞ্চলে বেশি পাটচাষ হয়। কেউ কেউ নিজের জমিতেই খাল কেটে জল ভরে পাট জাঁক দিচ্ছেন। আবার বেশি টাকা দিলেও পুকুর ভাড়া না পাওয়ায় পাট জাঁক নিয়ে দুশ্চিন্তা কমছে না। তবে জাঁকের সময় এখনও আছে। তবে এই সময় পাট পচিয়ে নিতে পারলে তার গুণমান খুব ভাল হয়।
আরও পড়ুন-হিমঘরে মজুত আলু তবু দামে ছেঁকা কেন, বৈঠকে কড়া দাওয়াই মুখ্যমন্ত্রীর
কৃষি দফতরের তরফে সেজন্য চাষিদের পাট জাঁকে ব্যবহারের জন্য পাউডার দেওয়া হচ্ছে। তবে জাঁক দেওয়ার পর্যাপ্ত জল না থাকায় অনেকে জমি থেকে এখনও পাট কাটেননি। পূর্বস্থলীতে নিজের জমিতে আল বেঁধে সাবমার্সিবলের জল কিনে অনেকেই দ্বিগুণ টাকায় পাট জাঁক দিচ্ছেন। কাটোয়ার বেশির ভাগ পাটচাষিই নিজের জমিতে খাল কেটে সেখানে প্লাস্টিক দিয়ে জল ভরে পাট পচাচ্ছেন। কিন্তু পাট বিক্রি করে তার খরচ উঠবে কি না তা নিয়েও চিন্তা থাকছে। পাটের বয়স ১২০ দিন হয়ে গেলে জলে ফেলে জাঁক দিতে হয়। বয়স বেড়ে গেলে মান ও রং খারাপ হয়। জল বেশি থাকলে জাঁক ভাল হয় এবং মান ও রং ভাল হয়। তাই বাধ্য হয়ে পাট পচানোর জন্য নিজের জমিতেই এখন খাল কেটে জল আনা ছাড়া উপায় নেই চাষিদের।