সংবাদদাতা, বাঁকুড়া : ‘দিদিকে বলো’ (didi ke bolo) ফোন নম্বরে একটা ফোন করেই মিলতে চলেছে নদীভাঙনের সমস্যা থেকে কৃষকদের মুক্তি। বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের মঙ্গলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেতালন গ্রামের কৃষকদের এই সমস্যা সমাধানে রাজ্য সরকার বরাদ্দ করেছে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। বেতালন গ্রামের ১০০ শতাংশ মানুষই কৃষিজীবী। কৃষকদের জমির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে খরস্রোতা দ্বারকেশ্বর নদ। প্রতি বছর ভয়াবহ বন্যায় এই নদীর ভাঙনের কবলে পড়েন এলাকার কৃষকরা। বিঘার পর বিঘা কৃষিজমি বিলীন হয়ে যায় নদীগর্ভে। গত বছরেও বন্যায় ব্যাপক ভাঙন থেকে ক্ষতি হয়েছে এলাকায়। এলাকার কৃষকদের দাবি, তাঁরা বিভিন্ন দফতরের দ্বারস্থ হন ভাঙনরোধের জন্য। অবশেষে বাধ্য হয়ে এলাকার কৃষকরা গত বছরেই ‘দিদিকে বলো’ নম্বরে ফোন করে তাঁদের এলাকার এই সমস্যার কথা জানান। আর তাতেই বাজিমাত। অতি-তৎপরতার সঙ্গে রাজ্যের উদ্যোগে ইরিগেশন দফতর থেকে এই সমস্যা সমাধানে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। সেই টাকায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ভাঙনরোধের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে বরাত পাওয়া সংস্থার দাবি, বর্ষার আগেই জরুরি ভিত্তিতে এই কাজ শেষ করা হবে। ফলে এলাকার কৃষকদের আর নদীভাঙন-সমস্যায় পড়তে হবে না। শালবল্লা দিয়ে প্রথমে গার্ড ওয়াল করা হচ্ছে। তার ভেতরে বালির বস্তা ভরে নেট বাইন্ডিং করা হবে। এই কাজ সম্পূর্ণ হলে এলাকায় আর ভাঙন দেখা দেবে না। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য সরকারের এই কাজে খুশি এলাকার কৃষকরা।
আরও পড়ুন- ১০৮ তীর্থক্ষেত্রের জলে আগামিকাল স্নান করবেন দিঘার জগন্নাথ