ঘূর্ণিঝড় মোকার মতিগতি এখনও স্পষ্ট নয়। শেষ পর্যন্ত মোকা আসুক বা না আসুক, পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে জোরকদমে চলছে মাঠে মাঠে ধান কাটার পালা। কেননা এপ্রিলের শেষ সপ্তাহের প্রবল ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে জেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। তাই এবার আর কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চাইছেন না এলাকার কৃষকরা। যেটুকু ফসল হয়েছে, তড়িঘড়ি তা ঘরে তুলে নিচ্ছেন তাঁরা। যাঁদের সামর্থ্য আছে তাঁরা জলদি ধান কাটা ও ঝাড়ার জন্য যন্ত্রেরও সাহায্য নিচ্ছেন। মোকার মতিগতি স্পষ্ট না হলেও জেলা প্রশাসন আগেভাগেই নানা ধরনের সতর্কতা গ্রহণ করেছে। তারই অঙ্গ হিসেবে কৃষি এলাকায় ধান, সবজি, আনাজ অর্থাৎ ফসল বাঁচাতে নানাভাবে প্রচার চালাচ্ছে জেলা কৃষি দফতর। ঝড়জলের সময় কোনও সমস্যা হলে তার মোকাবিলার জন্য কৃষি দফতরের প্রতিনিধিদের নিয়ে জেলায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। প্রসঙ্গত, এপ্রিলের শেষে কয়েকদিন আগে টানা কালবৈশাখী আর তার জেরে শিলাবৃষ্টিতে জেলার ১২টি ব্লকের ফসলের কমবেশি ক্ষতি হওয়ায় এবার আর ঝুঁকি না নিয়ে আগেভাগেই ফসল তোলার কাজে জোর দেওয়া হয়েছে দেলায়। শিলাবৃষ্টির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হন জেলার ২৩,৯১০ জন কৃষক। ৪ ব্লকের ১১৪টি মৌজার ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট ইতিমধ্যেউ রাজ্য কৃষি দফতরে পাঠিয়েছে জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি কন্ট্রোল রুম খুলে আবহাওয়ার উপর সতর্ক নজরদারি রাখা হচ্ছে।