প্রতিবেদন : চরম কৃষক-বিরোধী মোদি সরকার। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন ১১ বছর আগে। আজও সেই ভাঁওতাবাজি চলছে। কথা রাখেনি মোদি সরকার। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের লক্ষ্যই হল অন্নদাতাদের সর্বনাশ। তাই এই সরকারের আর নেই দরকার। দেশের কৃষিক্ষেত্র থেকে কৃষকদের সর্বনাশকারী মোদি সরকারকে উৎখাত করার শপথ নিন এবার।
কেন মোদি সরকার কৃষক বিরোধী, পরিসংখ্যান তুলে তা দেখিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে খতিয়ান তুলে ধরে জানিয়েছে, মোদি সরকারের আমলে একটি কৃষক পরিবারের উপর গড়ে বার্ষিক আয়ের ৬০ শতাংশ ঋণের বোঝা চেপেছে। চাষযোগ্য জমির গড় আয়তন কমেছে ৩১ শতাংশ। ২০১৬-১৭ সালে গড় ১.০৮ হেক্টর চাষযোগ্য জমি ছিল। তা থেকে ২০২১-২২ সালে জমির পরিমাণ এসে দাঁড়িয়েছে গড়ে ০.৭৪ হেক্টর। কেন্দ্রের ভ্রান্ত কৃষিনীতির কারণে আজ ৫৬ শতাংশের বেশি কৃষক পরিবার বেঁচে থাকতে আয়ের অন্য উৎস খুঁজছে। কারণ মোদি সরকারের আমলে চাষাবাদ থেকে আয় কমে গিয়েছে ভয়ানকভাবে।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ১ লক্ষেরও বেশি কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। উপার্জন কমে যাওয়ায় দেনার দায়ে ডুবে তাঁদের এই পথ বেছে নিতে হয়েছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কৃষকের আয় দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। সে-সব প্রতিশ্রুতি এখন তিনি ভুলে গিয়েছেন। মানুষের কাছে প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে সে-সবই ছিল ভাঁওতা। আজও অধরা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য। কেন্দ্রীয় সরকার আজও কোনও আইনি নিশ্চয়তা দিতে পারেনি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণ করার।
কৃষকদের কী দিয়েছে এই সরকার? দিয়েছে বিতর্কিত কৃষি আইন। সেই কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলনে ৭০০-র বেশি কৃষকের প্রাণ গিয়েছে। তারপর ২০১৫-’১৬ থেকে ২০২০-’২১ সালের মধ্যে
কৃষিঋণ বেড়েছে ৫৩ শতাংশ। কৃষি ঋণের পরিমাণ ১২ লক্ষ কোটি টাকা বেড়ে হয়েছে ১৮.৪ লক্ষ কোটি টাকা। ঋণে জর্জরিত কৃষকের সংখ্যা ৬.৯ কোটি থেকে বেড়ে হয়েছে ১০ কোটিরও বেশি। এই তো হাল মোদি-শাসনে কৃষি-ব্যবস্থার। কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের। তাই এই সরকারকে এবার বিদায় দিন।