প্রেমে প্রত্যাখ্যানেই খুন, বিস্ফোরক যাদবপুরে মৃত অনামিকার বাবা

যাদবপুরের পড়ুয়া অনামিকা মণ্ডলের বাবার বিস্ফোরক অভিযোগ। স্পষ্ট জানালেন তাঁর মেয়েকে কেউ বা কারা ঝিলের জলে ফেলে দিয়েছিল।

Must read

প্রতিবেদন : যাদবপুরের পড়ুয়া অনামিকা মণ্ডলের বাবার বিস্ফোরক অভিযোগ। স্পষ্ট জানালেন তাঁর মেয়েকে কেউ বা কারা ঝিলের জলে ফেলে দিয়েছিল। কেন ঝিলের জলে ফেলা হয়েছিল? বাবার অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে কেউ হয়তো প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল। অনামিকা তা প্রত্যাখ্যান করার কারণেই তাঁকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ঝিলের জলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। অনামিকা সাঁতার জানত না, তাই ডুবে গিয়েছে।
অনামিকা মণ্ডলের মৃত্যুর পর ৭২ ঘণ্টা একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি বাবা অর্ণব মণ্ডল। রবিবার মুখ খুললেন। বললেন কেউ বা কারা ঝিলের পাশে ইউনিয়ন রুমের কাছে ওকে ডেকেছিল সেই কারণেই ও এসেছিল। এরপর কেউ হয়তো ওকে ঠেলে ফেলে দিয়েছিল ঝিলের জলে। একথা বলছি তার কারণ আমি দেখেছি ওর দুই কনুইয়ে ছড়ে যাওয়ার দাগ। একমাত্র ঠেলে দেওয়ার পর কনুই দিয়ে পড়লেই এই ধরনের কেটে যাওয়ার দাগ তৈরি হয়।

আরও পড়ুন-আরজি করের ছাত্রীর মৃত্যুতে ধৃত প্রেমিক

অর্ণববাবুর বক্তব্য, যে তিনজন সে-সময় ঝিলের কাছে ছিল, তাঁদের জেরা করলেই আসল ঘটনা জানা যাবে। অর্ণববাবু আরও বলেন, অনামিকার মোবাইল পরীক্ষা করলেই সব ঘটনা পরিষ্কার হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, পুলিশ অনামিকার মোবাইলটি বাজেয়াপ্ত করে পরীক্ষা করা শুরু করেছে।
রবিবার শোকার্ত অর্ণব এবং তাঁর স্ত্রী জানান, অনামিকা পড়াশুনায় ভাল ছিল। কোনও ঝামেলার মধ্যেই থাকত না। প্রিয় ছিল সঙ্গে থাকা ব্যাগটি। ও কিছুতেই সেটা হাতছাড়া করত না কিন্তু অর্ণব জানালেন সেই ব্যাগ এক অধ্যাপকের কাছ থেকে তিনি ফেরত পেয়েছেন। প্রশ্ন হল, ব্যাগটি অধ্যাপককে কে দিল? এই প্রশ্নের উত্তরও নিরসন করতে হবে। রবিবার পুলিশের পদস্থ অফিসাররা গিয়ে ঘটনাস্থল পরীক্ষা করেন। রাতে যেখানে অনুষ্ঠান চলছিল সেই জায়গাটিও পরীক্ষা করেন।

Latest article