মেয়ের সঙ্গে প্রেম করার দুঃসাহস দেখিয়ে বিপাকে যুবক। মেয়ের প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে বন্দুক দেখিয়ে এবার খুনের হুমকি দিলেন বাবা। দৃশ্য দেখে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে চিৎকার শুরু করেন প্রেমিকের মা। তাঁর সেই চিৎকার শুনেই ওই ব্যক্তিকে তাড়া করে কর্তব্যরত পুলিশ। প্রায় একশো মিটার তাড়া করে প্রেমিকার বাবাকে আগ্নেয়াস্ত্র ও বুলেট-সহ গ্রেফতার করলেন ট্যাংরা থানার (Tangra Police station) আধিকারিকরা। ৩০ জুলাই রাত ১২:১৫ নাগাদ ট্যাংরা থানার পুলিশ এলাকায় টহল দিচ্ছিল এবং ৯/এইচ/৬/২, সিল লেন কলকাতা-১৫ পার করার সময় চিৎকার শুনে দাঁড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন-জট কাটিয়ে ৭ অগাস্ট জয়েন্টের ফল প্রকাশ
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম ভোলানাথ কর। এন্টালির পটারি রোডের বাসিন্দা তিনি। তার মেয়ের সঙ্গে কয়েক মাস আগে পরিচয় হয় শীল লেনের বাসিন্দা এক তরুণের। দু’জনের মধ্যে প্রেম হয় এবং বাড়িতে না জানিয়ে মেয়ে প্রেম করছে, জানতে পেরেই প্রথমে বাবা মেয়ের উপর চিৎকার শুরু করেন। বাড়িতে অশান্তির পর মেয়ের প্রেমিকের উপর রাগ গিয়ে পড়ে বাবা’র। এদিকে এলাকায় গুন্ডামির জন্য আগ্নেয়াস্ত্র সাথে রাখতেন ভোলানাথ বলেই সবাই জানে। মঙ্গলবার রাতে রিভলভারে বুলেট ভরে শীল লেনে পৌঁছে যান তিনি। গভীর রাতে মেয়ের প্রেমিকের বাড়ির দরজায় ধাক্কা দিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়েন তিনি। এরপরেই রিভলভার বের করে বাড়ির গৃহবধূকে জিজ্ঞেস করেন কেন তাঁর ছেলে ওঁর মেয়ের সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছে। তাঁর ছেলেকে গুলি করে খুনের হুমকিও দেন তিনি। গালিগালাজও করা হয়। মহিলা ও তাঁর ছেলে প্রতিবাদ করলে তাঁর ভয় দেখানো বেড়েই চলে। এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ওই গৃহবধূ। তিনি চিৎকার করতে শুরু করেন। বিপদ বুঝে বাড়ি থেকে অস্ত্র নিয়ে বেরিয়ে যান ওই ব্যক্তি। চিৎকার করেই তাঁকে তাড়া করেন গৃহবধূ। কাছেই গাড়ি নিয়ে টহল দিচ্ছিলেন ট্যাংরা থানার আধিকারিকরা। মহিলাকে ওই ব্যক্তির পিছনে ধাওয়া করতে দেখে পুলিশ তাঁকে তাড়া করে। প্রায় ১০০ মিটার তাড়া করে ভোলানাথকে পুলিশ ধরে ফেলে। জেরা করে কোথা থেকে সে অস্ত্র পেল, সেটাই জানার চেষ্টা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-হায়দরাবাদ বিমানবন্দরে মহিলার ব্যাগ থেকে উদ্ধার ৪০০ কেজি গাঁজা
পুলিশের তরফে খবর, অপর্ণা দে’র ট্যাংরা থানায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অস্ত্র আইনের ২৫(১বি)(এ)/২৯ ধারা ৩৫১(২) বিএনএস সহ মামলা নথিভুক্ত করা হয়। আজ অভিযুক্তকে শিয়ালদহের লেফটেন্যান্ট এসিজেএম-এর সামনে হাজির করা হয় এবং ৪.০৮.২০২৫ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়। মামলার বিশদে তদন্ত চলছে।