সময়ের পরিবর্তন হলেও আফগানিস্তানে (Afghanistan) মহিলাদের জন্য তালিবান কড়া নিয়ম নিয়ে এল। আফগানিস্তানের শাসক তালিবান গোষ্ঠী সাফ জানিয়ে দিল শরিয়া আইন মেনে ব্যভিচার বা অবৈধ যৌনসম্পর্ক করতে ধরা পড়লে মহিলাদের পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলা হবে। তালিবানের সুপ্রিম নেতা মোল্লা হিবাতুল্লাহ আখুনজাদা একটি ভিডিয়ো বার্তায় ঘোষণা করেন প্রকাশ্যে পাথর ছুড়ে মহিলাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার নিয়ম আবার চালু করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহল মহিলাদের যে অধিকারের কথা বলছে, সেটা তালিবানের ইসলামিক শরিয়া আইনের বিরুদ্ধাচারণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-রাজধানীতে ৩ বছরের শিশুকে ধ.র্ষণ, গ্রেফতার বিবাহিত যুবক
আখুনজাদা স্পষ্ট করেই বলেন, “আমরা যখন মহিলাদের পাথর ছুড়ে মৃত্যুদণ্ড দিই, তখন আপনারা বলেন এতে মহিলাদের অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা ব্যভিচারের জন্য এই শাস্তি চালু করতে চলেছি। আমরা প্রকাশ্যে মহিলাদের চাবুকের বাড়ি দেব। জনসমক্ষেই পাথর ছুড়ে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। কাবুল দখল করেই তালিবানের কাজ শেষ হয়ে যায়নি, কাজ সবে শুরু হয়েছে।”
আরও পড়ুন-গ্রীষ্মের দাপট, এপ্রিলের শুরুতেই ৪০ ছুঁতে চলেছে তাপমাত্রা
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৫ অগস্ট আফগানিস্তানের কাবুল দখল নেয় তালিবান। যদিও সেই সময়ে তালিবান জানায়, আধুনিক যুগের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই শরিয়া আইন কার্যকর করা হবে। মহিলাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে না। কিন্তু কিছু সময় যেতেই আফগানিস্তানে মহিলাদের অধিকারের উপরে তালিবান শাসক নিয়ম লাগু করতে শুরু করে। শিক্ষা থেকে শুরু করে চাকরির অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। রাস্তায় একা চলাফেরা ও রেস্তোরাঁয় খাবার খাওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। মেয়েদের উচ্চশিক্ষার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। চাকরির ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বিনা সম্মতিতেই মহিলাদের তুলে নিয়ে যাওয়া, বিয়ে ও ধর্ষণের মতো প্রচুর অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে।