নয়াদিল্লি : বিধানসভা ভোটের মুখে বাংলায় এসআইআর (SIR) বা বিশেষ নিবিড় সংশোধনীর নামে কার্যত জুলুম চালাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। বিজেপির অঙুলিহেলনে কমিশনের এই পদক্ষেপে নাজেহাল জনজীবন। গত ২৪ দিনে পশ্চিমবঙ্গে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই তালিকায় আতঙ্কিত সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিএলওরাও রয়েছেন। বিএলওদের যুক্তিসঙ্গত সমস্যার কথা না শুনেই তাঁদের উপর সিংহভাগ দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের। নির্বাচন কমিশনের বেনজির চাপের মুখে একাধিক বিএলও অসুস্থ হয়েছেন, অনেকের মৃত্যুও হয়েছে। তা সত্ত্বেও নির্বিকার কমিশনের আধিকারিকরা। অন্যদিকে, বিজেপি নেতারা যেভাবে এসআইআরের (SIR) নামে হুমকি দিচ্ছেন, তাতেও বহু মানুষ অনিশ্চয়তার আতঙ্কে ভুগছেন। সব মিলিয়ে নির্বাচন কমিশনের এসআইআর কর্মসূচির পর থেকেই মৃত্যুমিছিল শুরু হয়েছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের পিছনে ‘রাজনৈতিক পরিকল্পনা’ রয়েছে বলে শুরু থেকেই অভিযোগ শানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তোপ দেগেছেন বিজেপি-কমিশনের অশুভ আঁতাতের দিকে। এসআইআর প্রত্যাহারের আর্জিও জানিয়েছন তিনি। এই পরিস্থিতিতে সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনের নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা চায় তৃণমূল কংগ্রেস। দলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, মানুষের ইস্যু নিয়ে সরকারের কাছে জবাবদিহি চাওয়ার জন্য সংসদের প্রতিনিধিরা দায়বদ্ধ। কিন্তু মোদি সরকার চায় সংসদ অচল হয়ে থাক। কারণ সংসদ অচল হলে মানুষের একাধিক জ্বলন্ত সমস্যা নিয়ে জবাব দেওয়ার দায় থাকে না সরকারের। নিজেদের বাঁচাতেই এবারও সংসদে নির্বাচন কমিশন ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকার আলোচনার পক্ষপাতী নয়। ডেরেক জানান, সংসদীয় আইনের ১৬৯ ধারায় জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আইনসভায় আলোচনা সম্ভব। অতীতেও নির্বাচন কমিশনের এক্তিয়ারভূক্ত একাধিক বিষয় নিয়ে সংসদে আলোচনা হয়েছে। এবারে তাহলে অনীহা কেন সরকারের?
আরও পড়ুন-রাজনৈতিক লড়াইয়ে বারবার কেন সিবিআই ব্যবহার, প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

