প্রতিবেদন : রবিশস্য বপনের ভরা মরশুম চলছে। অথচ বিভিন্ন রাজ্য থেকে কৃষকরা অভিযোগ করছেন তাঁরা বাজারে প্রয়োজনীয় সারের জোগান পাচ্ছেন না। কৃষকদের এই অভিযোগকে সামনে রেখে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় শুক্রবার সংসদে কেন্দ্রীয় সার ও রসায়ন মন্ত্রীর কাছে জানতে চান, দেশে কি কৃষকদের প্রয়োজনীয় সারের অভাব রয়েছে? কোন কোন রাজ্য থেকে পর্যাপ্ত সার না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে? কোন ধরনের সার পাওয়া যাচ্ছে না? সারের এই সঙ্কট দূর করতে কেন্দ্র কি কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে?
আরও পড়ুন-সংসদ ও সংসদীয় গণতন্ত্র, মোদি জমানায় দুই-ই বিপন্ন
বিভিন্ন রাজ্যে কোন ধরনের সার এবং কী পরিমাণ পাঠানো হয় সে ব্যাপারে সরকারের কাছে কি কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে? সারের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে? রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সার ব্যবহার বাড়ানোর জন্য সরকার কি কোনও উদ্যোগ নিয়েছে? সারের সঙ্কট নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ মালা রায়ও৷
আরও পড়ুন-তিস্তার পরিবারের পাশে রয়েছে হিন্দু মহাসভা, অস্বস্তি সৃষ্টি বিজেপিতে
সৌগত রায়ের এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় সার ও রসায়নমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য বলেন, দেশের বাজারে সারের কোনও সঙ্কট নেই। কয়েকটি রাজ্যের নির্দিষ্ট কিছু জেলায় ডিএপি সারের জোগান কম ছিল। কিন্তু ওই সমস্ত জেলাগুলিতে সময়মতোই ডিএপি পাঠানো হয়েছে। ২০২১-’২২ রবিশস্যের মরশুমে ডিএপির কোনও অভাব নেই। রবি মরশুমে গোটা দেশে সারের মোট চাহিদা ৩৪.৬৫ লক্ষ মেট্রিক টন। কিন্তু সরকারের কাছে ৩৬.৬০ লক্ষ মেট্রিক টন ডিএপি রয়েছে। কাজেই সারের সঙ্কট আছে এটা বলা যায় না।
আরও পড়ুন-বিচারপতি নিয়োগ প্রশ্ন কল্যাণের
মন্ত্রীর ব্যাখ্যা, ফসলের মরশুম শুরুর আগেই যাতে কোথাও কোনও সারের সঙ্কট না থাকে সেজন্য কেন্দ্রীয় কৃষি এবং কৃষক উন্নয়ন মন্ত্রক সব রাজ্যের সঙ্গে আলোচনায় বসে। প্রতিটি রাজ্যের কী পরিমাণ সার প্রয়োজন আছে তা জানার পর সরবরাহের ব্যবস্থা করে কেন্দ্র। যে সমস্ত সারে সরকার ভর্তুকি দিয়ে থাকে সেই সমস্ত সার বিক্রির ওপর সরকার অনলাইন ব্যবস্থায় গোটা দেশে নজরদারি চালায়।