প্রতিবেদন : আইএসএলে দ্বিমুকুট জয়ের পরেই জেসন কামিন্সের সই ইস্যুতে ফিফার রেজিস্ট্রেশন ব্যানের আওতায় পড়েছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। জাতীয় স্তরের ফুটবলারদের সই করানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর মঙ্গলবার মোহনবাগানের উপর থেকে নির্বাসন তুলে নিল ফিফা। মোহনবাগান ক্লাবে যখন সভাপতি, সচিব নির্বাচন ঘিরে হইচই তখন নিঃশব্দে ফিফার সঙ্গে চিঠি চালাচালিতে আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন ব্যান তুলে সমর্থকদের স্বস্তি ফেরালেন ফুটবল টিমের কর্তারা।
আরও পড়ুন-রথের ৮ দিনই দিঘায় দর্শনার্থীরা পাবেন মাসির বাড়ির অন্নপ্রসাদ
মুম্বই সিটিও একই সমস্যায় পড়েছিল। তাদের নির্বাসন তুলতে তিনমাস সময় লেগেছিল। মোহনবাগান ফুটবলার সইয়ে নিষেধাজ্ঞা তুলতে পারল মাত্র দেড় মাসের মধ্যেই। দুই মরশুম আগে কামিন্সের ট্রান্সফার ফি-র পুরোটা তাঁর আগের ক্লাব সেন্ট্রাল কোস্ট মেরিনার্সকে দেওয়া হলেও ফিফা সলিডারিটি ফান্ডে টাকা জমা পড়েনি। একইসঙ্গে কামিন্সের পুরনো ক্লাবকে ‘ট্রেনিং কম্পেনসেশন ফি’ দেওয়ার কথা। সেটাও দেওয়া হয়নি। আসলে কিছু টেকনিক্যাল সমস্যার জন্যই এই অর্থ দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েছিল মোহনবাগান। বার দুয়েক ফর্ম পূরণ করেও সমস্যা থেকে যায়। আচমকা মোহনবাগানকে শাস্তি দেওয়ার পর ফিফার ক্লিয়ারিং হাউসের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হয় ক্লাব ম্যানেজমেন্ট।
আইনজীবী মারফত সমস্ত কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর সমস্যা মেটে। কয়েকদিন আগেই মোহনবাগানের জমা দেওয়া সমস্ত নথিপত্র অনুমোদন করে ফিফা। এদিন সরকারিভাবে রেজিস্ট্রেশন ব্যান তুলে নেয় তারা। ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত বর্তমান ট্রান্সফার উইন্ডো চালু থাকছে। ফলে নতুন ফুটবলার সই নিয়ে আর কোনও চিন্তা রইল না মোহনবাগানের। কয়েকজন পরিচিত ভারতীয় ফুটবলার দলে নেওয়ার চেষ্টায় জোসে আশিক কুরুনিয়ন দল ছাড়ায় তাঁর বিকল্প খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে দল। নজরে আব্দুল রাবি, কিয়ান নাসিরিরা। পাশাপাশি মুম্বই থেকে মেহতাব সিংকে নেওয়ার পথে এগিয়েছে দল। এদিনই মোহনবাগান মাঠ পরিদর্শন করেন সচিব সৃঞ্জয় বোস।