কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudo) তার বিমানে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে ৩৬ ঘন্টা আটকে থাকার পরে অবশেষে মঙ্গলবার তাঁর দেশের উদ্দেশ্যে ভারত ছাড়লেন ।
ট্রুডো এবং তার প্রতিনিধিদল ৮ই সেপ্টেম্বর জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনে আসার পর থেকে দিল্লিতে আটকে পড়েছিলেন। দুই দিন পরে তাদের দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু তাঁর এয়ারবাস বিমানে ত্রুটি ট্রুডোকে তার ভারতে থাকা দীর্ঘায়িত করতে বাধ্য করে।
আরও পড়ুন-মনু মানেসারকে আটক করল হরিয়ানা পুলিশ
ভারত ও কানাডার মধ্যে জটিল সম্পর্কের মাঝেই এই ঘটনাটি ঘটেছে। নয়াদিল্লি নিয়মিতভাবে টরন্টোর খালিস্তানি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং এটিকে ট্রুডো সরকারের “ভোট ব্যাংকের রাজনীতির” সাথে তুলনা করেছে৷
জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে আলোচনার সময়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কানাডার মাটিতে দেশবিরোধী খালিস্তানি কার্যকলাপ সম্পর্কে ট্রুডোর কাছে তাঁর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘তারা বিচ্ছিন্নতাবাদকে প্রচার করছে এবং ভারতীয় কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে উস্কে দিচ্ছে। কূটনৈতিক প্রাঙ্গণের ক্ষতি করছে এবং কানাডায় ভারতীয় সম্প্রদায় এবং তাদের উপাসনালয়কে নষ্ট করছে’। কিন্তু, ট্রুডো খালিস্তানি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা নেন নি। “কানাডা সবসময় মত প্রকাশের স্বাধীনতা, বিবেকের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের স্বাধীনতা রক্ষা করবে,” তিনি জানান।
উল্লেখ্য, জি ২০ সম্মেলনে নেতারা রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি ট্রুডোর হাত ধরার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু ট্রুডো সরে আসেন। তাছাড়া শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) জি-২০ নেতাদের জন্য যে ডিনারের ব্যবস্থা করা হয় সেটি এড়িয়ে যান তিনি। কানাডার পিএমও যদিও কারণটি প্রকাশ্যে আনেন নি।