প্রতিবেদন : দুর্গাপুজোর ঠিক আগে একরাতের রেকর্ডভাঙা বৃষ্টি কেড়ে নিয়েছিল শহর কলকাতার ১২ জনের প্রাণ। শুক্রবার শহরে কালীপুজোর উদ্বোধন থেকে তাঁদের পরিবারের হাতে সরকারের তরফে আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও প্রত্যেক পরিবারের একজনের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata banerjee)। এদিন বিকেলে শেক্সপিয়ার সরণিতে কালীপুজো উদ্বোধনের মঞ্চ থেকে স্বজনহারা পরিবারগুলিকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ও পরিবারপিছু একজনকে হোমগার্ডের চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। ভার্চুয়াল মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে দার্জিলিংয়েও মৃত ৩ জনের পরিবারকেও ক্ষতিপূরণ ও নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উত্তরের ভয়াবহ বন্যায় আরও মানুষের প্রাণহানি হতে পারত। কিন্তু উৎসবের মরশুমেও দুর্যোগের মধ্যে উদ্ধারকারীরা খুব ভাল কাজ করেছেন। তাই দুর্যোগের সময় ভাল কাজ করা সরকারি কর্মীদের কাজে আরও উৎসাহ প্রদানের জন্য পুরস্কৃত করা হয় এদিন। প্রাপকদের মধ্যে ছিলেন পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ার, দমকল, বন দফতর, বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। নাগরাকাটায় নিজের জীবন বিপন্ন করে দুর্গতদের চিকিৎসায় ছুটে যাওয়ার জন্য পুরস্কৃত করা হয়েছে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ইরফান মোল্লাকেও।
আরও পড়ুন-নিরাপদতম শহর কলকাতা, বলছে কেন্দ্রের রিপোর্টই
অন্যদিকে, এদিনের কালীপুজো উদ্বোধন অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বিশেষ অনুদান দেওয়া হল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata banerjee) নির্দেশে রাজ্যের ১ লক্ষ ৫ হাজার আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে স্মার্টফোন কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা করে অনুদানের ঘোষণা করে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আইসিডিএস এবং আশার মেয়েরা সারা বছর ধরে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অনেক কাজ করেন। তাঁদের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে পাঠানো হচ্ছে একটা করে স্মার্টফোন কেনার জন্য। এদিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন তৃণমূল রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, মেয়র-মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ডাঃ শশী পাঁজা, সাংসদ মালা রায়, সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার, বিধায়ক দেবাশিস কুমার, মেয়র পারিষদ অসীম বসু প্রমুখ। এছাড়াও ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম থেকে শুরু করে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, কলকাতার নগরপাল মনোজ ভার্মা-সহ পুলিশকর্তারা।