সঞ্জিত গোস্বামী, পুরুলিয়া : শুধু সবুজায়ন নয়, মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে সবুজায়নের পাশাপাশি আয়ের উৎস সৃষ্টিও করছে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। এবার ওই প্রকল্পে অরণ্য অঞ্চলে কুল, পলাশ, কুসুম গাছ লাগানোর ব্যবস্থা করা হল। সম্প্রতি ঝালদা মহকুমার চারটি ব্লক ঘুরে বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে কথা বলে এ সম্পর্কে নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক রাহুল মজুমদার।
আরও পড়ুন-নেতাজি অন্তর্ধান রহস্যের বিস্ফোরক অধ্যায়, তদন্তে ‘মিশন নেতাজি’র গবেষক চন্দ্রচূড় ঘোষ, অনুজ ধর এবং টিম
অযোধ্যা পাহাড় ও পাহাড়তলির অরণ্যে কুল, পলাশ, কুসুম স্বাভাবিক উদ্ভিদ। এগুলিতে লাক্ষাকীট পালন করা হয়। জেলাশাসক বলেন, লাক্ষা একটি অর্থকরী ফসল। তাই এই কীটের পোষক গাছের সংখ্যা বাড়াতে হবে। একসময় পুরুলিয়ার জঙ্গলে প্রচুর লাক্ষা উৎপাদিত হত। পরে জঙ্গল লুটেরাদের দাপটে কুল, পলাশ, কুসুম গাছ কমতে থাকে। বন্ধ হয়ে যায় জেলায় লাক্ষাচাষ। বলরামপুরের লাক্ষা কুঠিগুলিকে এখন কাঁচা লাক্ষা আনতে হয় ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা থেকে। লাক্ষাকুঠির একাধিক মালিক বলেছেন, লাক্ষাচাষে পরিশ্রম কম।
পোষক গাছে (কুল, কুসুম, পলাশ) লাক্ষাকীটের লার্ভা ছেড়ে দিলে লার্ভাগুলি ওই গাছের রস খেয়ে কীটে পরিণত হয়। সেই কীটের লালা থেকে লাক্ষা উৎপাদিত হয়। পোষক গাছ থেকে জমে থাকা লাক্ষা তুলে বাজারে বিক্রি করেন চাষিরা। তাতে ভাল আয় হয়। জেলাশাসক বলেন, কুসুম, কুল, পলাশ গাছের ফল, ফুল ইত্যাদিও অর্থকরী। তবে এই গাছ প্রচুর থাকলে লাক্ষাচাষ ভাল হবে। চলতি মরশুমেই ওই তিনটি গাছের চারা বন দফতর দেবে বলে জানা গিয়েছে।