প্রতিবেদন: দিল্লিতে বাজি কেনাবেচা সম্পূর্ণ বন্ধ করতে দিল্লি পুলিশকে দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের মতে, দীপাবলিতে বাজি ফাটানোয় নিষেধাজ্ঞা আসলে চোখে ধুলো দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। সোমবার দিল্লি দূষণ মামলায় দিল্লি পুলিশের ভূমিকায় তীব্র আসন্তোষ প্রকাশ করেআ শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের সাফ কথা, দূষণমুক্ত পরিবেশে বাস করা প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার। সারাবছর ধরেই দিল্লিতে বাজি পোড়ানোর উপরে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করার ব্যাপারে ২৫ নভেম্বরের আগেই রাজ্য সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ২৫ নভেম্বর সেই সিদ্ধান্ত হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে আদালতকে।
রাজধানীতে বায়ুদূষণের মাত্রা যথেষ্ট উদ্বেগজনক৷ সেই প্রসঙ্গেই সুপ্রিম কোর্ট সোমবার স্পষ্ট করেছে, দূষণমুক্ত পরিবেশে বেঁচে থাকা প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার ৷ এটি সংবিধানের ২১ নম্বর ধারার দ্বারা সুরক্ষিত। কোনও ধর্মই এমন কার্যকলাপকে উৎসাহিত করে না যা দূষণ সৃষ্টি করে। দীপাবলির সময় দিল্লিতে আতসবাজির উপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে ব্যর্থতার জন্য শীর্ষ আদালত সরাসরি দায়ী করে পুলিশ এবং প্রশাসনকেই।
বিচারপতি অভয় শ্রীনিবাস ওকা এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এদিন মামলাটি ওঠে। দিল্লি এবং তার আশপাশের এলাকায় খড় পোড়ানোর বিরুদ্ধে পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশজুড়ে প্রশাসনের ভূমিকা পর্যালোচনা করতে গিয়েই কড়া মনোভাব স্পষ্ট করে দেয় আদালত।
বিচারপতি ওকা বলেন, দূষণমুক্ত পরিবেশে বসবাসের অধিকার প্রতিটি নাগরিকের একটি মৌলিক অধিকার, যা সংবিধানের ২১ নং অনুচ্ছেদ দ্বারা সুরক্ষিত । প্রাথমিকভাবে, আমরা মনে করি যে কোনও ধর্মই দূষণ সৃষ্টি করে এমন কোনও কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করে না ৷ যদি স্রোতে গা ভাসিয়ে পটকা পোড়ানো হয়, তা নাগরিকদের স্বাস্থ্যের মৌলিক অধিকারকেও তা প্রভাবিত করে । শীর্ষ আদালত এদিন আবারও বুঝিয়ে দিল, দূষণের প্রশ্নে কোনও আপস নয়।