দলনেত্রীর নির্দেশের পরই শুরু অভিযান, ‘ভূতুড়ে’ ভোটার খুঁজতে দুয়ারে ফিরহাদ

Must read

বিজেপি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগসাজশে ভূতুড়ে ভোটার ঢুকিয়েছে তালিকায়। একই এপিক নম্বরে একাধিক ভোটার। একই এপিক নম্বরে বাংলায় মিলেছে গুজরাটের ভোটারেরও হদিশ। নেতাজি ইনডোরের সাধারণ সভা থেকে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরই ‘ভূতুড়ে’ ভোটার চিহ্নিত করতে পথে নেমে পড়লেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। মানুষের দুয়ারে গিয়ে ভোটার কার্ড নিরীক্ষণ করেন তিনি।

এদিন ভোটার তালিকা হাতে নিয়ে চেতলায় স্ক্রুটিনি করেন ফিরহাদ। বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রত্যেকের ভোটার কার্ড খুঁটিয়ে দেখেন। কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গে। ভবানীপুরেও পথে নেমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্কুটিনি করেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর।

আরও পড়ুন- নাবালিকা পড়ুয়াকে গণধর্ষণ! পুলিশি তৎপরতায় গ্রেফতার ১

শুক্রবারই ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) জানিয়েছিলেন ভবানীপুর থেকে ভোটার তালিকা স্ক্রুটিনি শুরুর কথা। হবে। সেইমতো শনিবার সকাল থেকে অভিযান শুরু হয়ে যায়। ভোটার তালিকায় মৃত কারও নাম রয়ে গিয়েছে নাকি বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য খতিয়ে দেখা হয়। ফিরহাদ হাকিম জানান, আরও একবার স্ক্রুটিনি করার পর নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট দেওয়া হবে। আমাদের দলনেত্রী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশ পালন করে বাংলার মানুষকে গণতান্ত্রিক উপায়ে ভোট দিতে সাহায্য করব। প্রকৃত ভোটারের ভোটে জিতে বিজেপির মুখোশ খুলে দেব আমরা। তাঁর কথায়, বিজেপি সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি করে। বাঙালি, অবাঙালি বিভেদ করে। ওরা কোনওদিন বাংলার বুকে দাঁত ফোটাতে পারবে না।
ফিরহাদ বলেন, বিজেপি একটা একটা করে সব প্রতিষ্ঠান নষ্ট করে দিচ্ছে। দেশের গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো নষ্ট করে দিচ্ছে।

উল্লেখ্য, নেতাজি ইনডোরে তৃণমূলের সাধারণ সভা থেকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ভোটার তালিকায় ‘ভূতুড়ে’ ভোটার ঢোকানো হয়েছে। একই এপিকের একাধিক ভোটার কার্ড নিয়েও ওইদিন ক্ষোভ উগরে দেন নেত্রী। ‘ভূতুড়ে’ ভোটার চিহ্নিতকরণে কমিটিও গঠন করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলায় জেলায় ভুতুড়ে ভোটার খুঁজতে তৎপর হয়ে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন নেত্রী।

Latest article