সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রেকর্ড গড়ে লালবাড়ি দখল করল তৃণমূল কংগ্রেস। নিজের ৮২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে রেকর্ড ১৪, ৯১৫ ভোটে জিতলেন বিদায়ী মেয়র ফিরহাদ হাকিম। খুশি তিনি ও তাঁর অনুগামীরা।স্ত্রী ও তিন কন্যা প্রিয়দর্শিনী, সাবা এবং আফসা-সহ গোটা পরিবারকে নিয়েই জয়ের সেলিব্রেশন করলেন তিনি। এই জয়কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মানুষের জয় বলেই ব্যাখ্যা করলেন ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন-‘এই নির্বাচন হয়েছে গণ উৎসবের, গণতন্ত্রের জয়’ কলকাতাবাসীকে কৃতিত্ব দিয়ে বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
এদিকে “একলা চল রে” নীতিতে ক্রমাগত রক্তক্ষরণের মাঝেই কিছুটা হলেও পুরভোটে সাফল্যের মুখ দেখল বাম শিবির। মাত্র দুটি আসনে সীমাবদ্ধ থাকলেও কলকাতা শহরের বুকে ভোট শতাংশ বেড়েছে বামেদের। যা বিজেপির থেকে বেশি।
বিধানসভা ভোটের হিসেবে, কলকাতা পুরসভার ১৪৪ টি ওয়ার্ড অঞ্চলে তৃণমূলের ভোট ছিল ৫৯.০৩ শতাংশ। সেখানে বিজেপির ভোট ছিল ৩২.৯২ শতাংশ। বামেদের ভোট ছিল ৪ শতাংশ। কলকাতা পুরভোটের ফলাফলের ট্রেন্ডে দেখা গেছে তৃণমূলের ভোট বেড়ে হয়েছে ৭১ শতাংশ এবং বিজেপির ভোট কমে হয়েছে ৮.৯ শতাংশ। অর্থাৎ বিজেপি-র ভোট কমেছে প্রায় ২৩ থেকে ২৪ শতাংশ। এই ২৩ থেকে ২৪ শতাংশ ভোটের একটা সিংহভাগ অংশ তৃণমূলের দিকে গেলেও একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এসেছে বামেদের দিকে। ফলত বামেদের ভোট শতাংশ ৪ থেকে বেড়ে হয়েছে ১১.৪ শতাংশ। অর্থাৎ প্রায় ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে তাদের ভোট।
আরও পড়ুন-‘ঘৃণা-হিংসার রাজনীতির স্থান নেই বাংলায়’, লালবাড়ি দখলের পরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা
বিদায়ী মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, “বামেরা বিরোধী জায়গায় থাকাটা শুভ।” কেন বিরোধী আসনে বামেরা থাকলে, সেটাকে ‘শুভ’ বলছেন ফিরহাদ হাকিম? তার কারণও ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “বিভেদমূলক রাজনীতি বেশিদিন বাংলায় থাকতে পারে না। কারণ বাংলার মানুষ আদর্শ ভাবেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে, কাজী নজরুল ইসলামকে, স্বামী বিবেকানন্দকে। সেখানে সাম্প্রদায়িক বিভেদমূলক রাজনীতি বেশিদিন থাকে পারে না।” একইসঙ্গে বিজেপির নাম না করে গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এই ববি হাকিম মুসলিম বলে তাঁকে হ্যাটা কর, তাঁকে দেশের বাইরে বের করে দাও! এটা প্রত্যাশিত নয়। আমরা সবাই ভারতের সন্তান। ভারতে জন্মেছি, বড় হয়েছি, ভারতেই মৃত্যুবরণ করব। বার বার করে এই অপমানটা জ্বালিয়ে দেয় ভিতরটাকে। মনে হয়, আমার মায়ের প্রতি ভালোবাসা আমাকে প্রমাণ করতে হবে।”