অভিরূপ ভট্টাচার্য : কলকাতা পুরসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান মুখ ছিলেন তিনি। গতবারের তুলনায় বেশি ভোট পেয়ে আবার জয় পেয়েছেন ৮২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। আর সেই ফল প্রকাশের পর এই শহরের প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়ে দিলেন আগামী দিনে কলকাতা শহরের নাগরিক পরিষেবাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে নিজের দায়বদ্ধতার কথা। তিনি জানিয়েছেন, কলকাতা পুর নির্বাচনের এই ফল মানুষের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকে এবার কলকাতা পুরসভার আগামী বোর্ড প্রতি বছর নিজেদের কাজের খতিয়ান তুলে ধরে রিপোর্ট কার্ড পেশ করবে মানুষের দরবারে। এই রিপোর্ট কার্ডে থাকবে, কোন কোন কাজ ও পরিষেবার লক্ষ্য ছিল। সেগুলির মধ্যে কোনগুলি সম্পূর্ণ হয়েছে, কোনগুলি বকেয়া রয়েছে, বকেয়া থাকার কারণ কী, সেগুলি সম্পর্কে কী পরিকল্পনা, এগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ। ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, মানুষ দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে।
আরও পড়ুন : শিল্পের নতুন দিগন্ত দুর্গাপুর
কলকাতা পুরসভায় এত বড় জয় তৃণমূল এর আগে কখনও পায়নি। বিধানসভা নির্বাচনেও যত ওয়ার্ডে তৃণমূল এগিয়েছিল, পুরভোটে জয় এসেছে তার চেয়ে বেশি আসনে। তিনি বলেছেন, এই জয় দলের বড় সাফল্য নিশ্চিতভাবেই। কিন্তু একইসঙ্গে যত বড় জয়, তত বেশি দায়বদ্ধতা বেড়ে গিয়েছে। প্রত্যাশা পূরণে দিনরাত খাটতে হবে। এই দায়বদ্ধতাকে ধর্ম হিসেবে পালন করতে হবে। মানুষের আস্থার মর্যাদা রাখতে হবে। ফিরহাদ জানিয়েছেন, এবার নতুন পুরবোর্ডের অগ্রাধিকার হবে এডিবি-র প্রকল্পের কাজ শেষ করা। যেহেতু বৃষ্টির ধরন বদলে গিয়েছে। ফলে জল জমার সমস্যার সমাধানই অগ্রাধিকার। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে নিকাশি ব্যবস্থার সংস্কার করা হবে। পাম্পিং স্টেশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। ফিরহাদ জানিয়েছেন, দ্বিতীয় অগ্রাধিকার হল পরিবেশ। বায়ুদূষণে রাশ টানতে হবে। শহরের সবুজ আরও বৃদ্ধি করতে হবে। এছাড়াও জল সরবরাহের মতো কাজগুলিকে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা দায়বদ্ধ কলকাতাবাসীর কাছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি ইস্তাহার অনুযায়ী কাজ করতে হবে। তিনি আরও বলেছেন, কোন কাজ করতে যাচ্ছি, কোনটা করতে পারলাম না, তা প্রতি বছর রিপোর্ট কার্ডের মাধ্যমে মানুষকে জানাতে হবে। কাউন্সিলরদের ‘যখন ডাকি, তখন পাই’ হতে হবে। মানুষের পরিষেবায় নিযুক্ত থাকবে হবে। নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।”