সংবাদদাতা, হাওড়া : রাজ্যকে না জানিয়ে অনৈতিকভাবে জল ছেড়েই চলেছে ডিভিসি। যার জেরে পুজোর আগে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দক্ষিণের জেলাগুলিতে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বিভিন্ন বানভাসি এলাকায় দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রশাসনের তরফে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন মন্ত্রী-বিধায়করা। বৃহস্পতিবার বিকেলে হাওড়ার আমতা ও উদয়নারায়ণপুরে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে দুর্গতদের হাতে ত্রাণ তুলে দেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সঙ্গে ছিলেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি ও পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়, বিধায়ক সুকান্ত পাল, ডাঃ নির্মল মাজি প্রমুখ। আমতার কুলিয়াঘাটের কাছে ভাটোরা ও ঘোড়াবেড়িয়া চিৎনান পঞ্চায়েতের মানুষদের হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেন ফিরহাদ। গোটা এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। এদিন ত্রাণ বিলি করতে এসে কেন্দ্রের তীব্র সমালোচনা করেন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বলেন, বাংলাকে প্রাপ্য টাকা না দিয়ে কেন্দ্র যদি লাগাতার বঞ্চনা করতে থাকে, তাহলে আমরাও কেন্দ্রের কর বয়কটের ডাক দেব। বাংলা কারও কাছে মাথা নত করবে না। কেন্দ্রের অঙ্গুলিহেলনেই বাংলায় এই ম্যান মেড বন্যার পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। ফিরহাদের পাশাপাশি সাংসদ সাজদা আহমেদও এদিন আমতার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে দুর্গতদের হাতে ত্রাণসমাগ্রী ও বেবিফুড তুলে দেন। এছাড়াও মন্ত্রী পুলক রায় গত তিনদিন ধরে টানা উদয়নারায়ণপুর ও আমতার দুর্গত এলাকায় থেকে উদ্ধারকাজ ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণের কাজের তদারকি করেন। একইভাবে উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা ও আমতার বিধায়ক সুকান্ত পালও দিনরাত এক করে দুর্গতদের পাশে রয়েছেন। প্রতিটি ত্রাণশিবির পরিদর্শন করে সেখানে যথাযথ খাবার সরবরাহের ব্যবস্থাও করছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন-বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির তালিকা দ্রুত তৈরি করুন, জেলাশাসকদের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর