আজ বুধবার সকালে স্বর্ণমন্দিরে (Golden temple) শিরোমণি অকালি দলের নেতা সুখবীর সিং বাদলের ওপর গুলি চালানোর ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য। অকাল তখতের শাস্তি অনুযায়ী, অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরে ‘সেবাদার’ হিসাবে কাজ করছেন সুখবীর সিং বাদল। আজ সেই শাস্তি পালনের দ্বিতীয় দিন। হঠাৎ করেই সুখবীরকে লক্ষ্য করে এদিন গুলি চালানো হয়। এই ঘটনা নিয়ে এডিসিপি হরপাল সিং জানিয়েছেন যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। সুখবীরকে যথাযথভাবে কভার দেওয়া হয়েছে। নারায়ণ সিং চৌরা (আততায়ী) গতকালও এখানে ছিলেন। আজ তিনি এখানে এসে প্রথমে গুরুকে প্রণাম জানান।
আরও পড়ুন-সেরা বিজ্ঞানমনস্ক শহরের তকমা এবার কলকাতার
প্রসঙ্গত, ধর্মীয় অপরাধের অভিযোগে সুখবীরকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। শিরোমণি অকালি দলের সভাপতি পদ তাঁকে ছাড়তে হয়। এরপর ‘অকাল তখত’-এর তরফে সোমবার সুখবীর সিং বাদলের বিরুদ্ধে তাঁর ধর্মীয় অপরাধের জন্য শাস্তি ঘোষণা করা হয়। ২০০৭ সাল থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে শিরোমণি অকালি দল এবং তাদের দ্বারা পরিচালিত সরকার ‘ভুল’ করেছে। তাই সুখবীরকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী সুখবীর সিং বাদলকে কীর্তন শুনতে হবে, অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরে ‘সেবাদার’ হিসাবে কাজ করতে হবে। সেখানে বাসন মাজতে এবং সেসব ধুতে হবে। জুতো পরিষ্কারও করতে হবে। তাঁর বাবার উত্তরসূরি হিসাবে যে ‘ফখরে-এ-কোয়াম’ উপাধি এত দিন ধরে তিনি বয়ে চলেছিলেন সেটাও তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সুখবীর সিং বাদলের বাবা প্রয়াত প্রকাশ সিং বাদল।