ক্যানবেরা, ৩০ নভেম্বর : অ্যাডিলেডে দিন-রাতের টেস্টের আগে প্রস্তুতিতে ধাক্কা ভারতের। গেম টাইম পাওয়া থেকে বঞ্চিত প্রথম টেস্ট না খেলা রোহিত শর্মা ও শুভমন গিল। মানুকা ওভালে গোলাপি বলে দু’দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিন বৃষ্টির কারণে বাতিল হয়ে গেল। টসই হল না! রবিবার আবহাওয়া ভাল থাকলে ৫০ ওভারের ম্যাচ হবে। দু’দলই তাতে রাজি হয়েছে।
আরও পড়ুন-রক্ষা করতে হবে মাটিকে
ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী একাদশের মধ্যে দু’দিনের ম্যাচ ছিল। শনিবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টি। পরের দিকে সেটা কমলেও ম্যাচ শুরু করার মতো পরিস্থিতি ছিল না। আম্পায়াররা মাঠ পরিদর্শন করে প্রথম দিনের খেলা বাতিল করে দেন। খেলা না হলেও ভারতীয় দলের ড্রেসিংরুমে অবশ্য ব্যস্ততা ছিল। প্রধানমন্ত্রীর টিমের সঙ্গে খেলা, তাই অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিসও হাজির। আগের দিনই অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে বিরাট কোহলিদের তিনি জানিয়েছিলেন, ম্যাচের দিন তাঁর দলকে সমর্থন করতে মাঠে থাকবেন। ভারতীয় দলের ড্রেসিংরুমে গিয়ে অতিথি দলের সঙ্গে সময় কাটান অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী। রোহিত, কোহলি, বুমরাদের সঙ্গে তাঁকে গল্প করতে দেখা যায়। অধিনায়ক রোহিত ভারতীয় দলের সদস্যদের সই-করা টুপি উপহার দেন প্রধানমন্ত্রীকে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘ভারত-অস্ট্রেলিয়া দ্বৈরথ অ্যাসেজের থেকে বড়।’’
পারথে না খেললেও ৬ ডিসেম্বর থেকে অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় টেস্টে খেলবেন রোহিত। প্রথম টেস্টের মাঝপথে অস্ট্রেলিয়ায় এসে গোলাপি বলে প্রস্তুতিও শুরু করে দেন। দ্বিতীয় টেস্টে তাঁর ব্যাটিং পজিশন কী হবে, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে। যশস্বী-রাহুলের ওপেনিং জুটি ভাঙে, নাকি রোহিত নেমে আসেন পরের দিকে, সুস্থ হয়ে ওঠা শুভমন খেললে তাঁর পজিশন কী হয়, এসব নিয়েই একটা ধারণা পাওয়া যেতে পারে মানুকা ওভালের প্রস্তুতি ম্যাচে। রবিবারও খেলা না হলে প্রস্তুতি ধাক্কা খাওয়ার পাশাপাশি অ্যাডিলেডের সম্ভাব্য টিম কম্বিনেশন পরখ করে নেওয়ার সুযোগটাও পাবে না ভারতীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। গোলাপি বলের সিম, স্যুইং একটা ফ্যাক্টর।
আরও পড়ুন-খাঁটি মাটি, খাঁটি জীবন
বিসিসিআই-এর ভিডিওতে আকাশ দীপ বলেছেন, ‘‘গোলাপি বল পিচে পড়ে স্কিড করে। উইকেটে বল বেশি বাউন্স করে। ব্যাটারদের কাজটা কঠিন হয়। গোলাপি বল অনেকটা সময় ধরে নতুন থাকে। সাধারণত আমরা দেখি, লাল বল ৫-৬ ওভারের মধ্যে পুরনো হয়ে যায়। গোলাপি বলে হয় না।’’ শেষবার এখানে এসে অ্যাডিলেডে দিন-রাতের টেস্টেই ৩৬ রানে অলআউট হয়েছিল ভারত। এরপর সিরিজ জিতলেও লজ্জা ঢাকেনি। পারথ জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়েই ডনের শহরে শাপমোচনের অপেক্ষা।