অনিকেতের পকেট এবার গড়ের মাঠ। তিন-তিনটে ইএমআই চলছে, এর মধ্যে আবার পয়লা বৈশাখ। সুমি গত মাসের শেষ থেকেই কানের কাছে গান গাইতে শুরু করেছিল। সেল থেকেই নাকি এ বছরের পুজোর বাজারটাও খানিক সেরে রাখবে। কী জ্বালাতন, কাল কী হবে কেউ জানে না আবার পুজোর বাজার! আর পয়লা বৈশাখ তো গরিবের উৎসব একটা নাইটি, একটা বাড়ি-পরার ফতুয়া, সোনার দোকানকে দুশোটা টাকা বছরের মতো হাতে গুঁজে দিয়ে এক বাক্স লাড্ডু আর ক্যালেন্ডার নিয়ে শরবত খেয়ে বাড়ি ফেরা। এর মধ্যে আবার পুজোর মার্কেটিং জুড়ে দিলে তো মুশকিল। আর কেই বা এখন আর তেমন করে পয়লা বৈশাখ পালন করে। এখানে পঁচিশে বৈশাখ পালন হয় কিন্তু পয়লা বৈশাখ তো বেনেদের বিষয়। এদেশ থেকে বিদেশেই এখন অনেক বেশি পয়লা-পয়লা রব। আসলে অনিকেতের মনে হয় বিদেশে থাকলে দেশপ্রেম একটু বেশি মাথায় চড়ে থাকে। পরবাসে বাঙালি মেয়ে-বউরা আটপৌরে শাড়ি পরে, ছেলেরা ধুতি পরে সবাই মিলে পালন করে পয়লা বৈশাখ। আর সেই জন্য তাঁরা একমাস ধরে রিহার্সালও করে। প্রবাসে তো এটুকুই পাওয়া তাই কোনও উৎসবই ওরা বাদ দেয় না। আমাদের দেশে বিশেষ করে শহর কলকাতা বা মফসসলে পয়লা বৈশাখ একদিনের পার্বণ। এখন আর কেউ পয়লা বৈশাখ নিয়ে নস্টালজিক নয়। অনিকেতের অফিসে তো গতবছর এইদিন সারাটা সকাল মিটিং ছিল। তবে ওর আবার বাংলা নতুন বছরে বাড়িতে একটু মাছ, মাংস না হলে চলে না। মাটনটা, ইলিশটা নিজেই কিনে আনে। সুমি হাতপুড়িয়ে রাঁধে আবার পকেটটিও কাটে। প্রতিবছর টুক টুক করে সেলের বাজারটি করে নেয়। দু’-চারটে সোনার দোকান ওর বাঁধা। নববর্ষের দিন নেমন্তন্ন থাকেই। এবার একটা হাতের গয়নার কেনার বায়না জুড়েছিল। অনিকেত আর কানেই তোলেনি। প্রতিবছর ধনতেরাস আর নববর্ষে গয়না নিয়ে বাড়ির মহিলাদের হ্যাংলামি দেখলে ওর রাগে মাথা জ্বলে যায়। টুবলিও যায় মায়ের সঙ্গে ওই ঘোষ জুয়েলারি, সিংহ জুয়েলারিতে। আইসক্রিম, কোল্ডড্রিঙ্কস যে যত পারো খাও। ওই লোভেই টুবলি ঘেমে নেয়ে মায়ের সঙ্গে হালখাতা করতে যায় প্রতিবছর। অনিকেতের কিছু বলার উপায় নেই। বললেই সুমি ব্যঙ্গ করে, ঠোঁট বেঁকিয়ে বলে ‘রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করোনি। তুমি বাঙালি হবার অযোগ্য। নিউ ইয়ার হলেই পার্টি, নাচাগানা আর বাংলা নববর্ষকে হেলাফেলা করো।’ সত্যি ব্যস্ত জীবনে রুজি রোজগেরে বাঙালির পয়লা বৈশাখ আবার কী! দুর্গাপুজোর একাট্টা বাঙালি পয়লা সেলিব্রেশনের সময় দুই শিবিরে ভাগ হয়ে যায়। এক শিবির ব্যস্ত জীবন থেকে পয়লা বৈশাখকে বাদ দিয়েছে আর এক শিবির আষ্টেপৃষ্ঠে আঁকড়ে ধরে রেখেছে। তবে যাঁরা আকড়ে ধরে আছে তাঁরা কেউ পয়লা বৈশাখের আবেগে ধরে নেই, তাঁদের কাছে এটা কেনাকাটা, খাওয়াদাওয়ার উৎসব দিন বৈ কিছু নয়। আর যাঁদের ছিটেফোঁটা সময় নেই তাঁদের চৈত্রের মিঠে-কড়া রোদে একটা লালপাড় সাদাশাড়ি, লালটিপ, আলগা খোঁপায় সেজে অফিস ডেস্কে বসে কাজ করে বা ক্লায়েন্ট মিট করেই পয়লা উদযাপন হয়ে যায়। বেশিরভাগই অফিস থেকে বেরিয়ে একটা রেস্তোরাঁয় বাঙালি থালি খেয়ে নববর্ষ সেলিব্রেশন সেরে নেয়। আবার কিছুজন রয়েছেন সক্কাল সক্কাল বাজারে গিয়ে পাঁঠার মাংস, ইলিশ মাছ, মিষ্টি-দই কিনে এনে পয়লা বৈশাখের দুপুর না হলে রাতটা জমিয়ে খেয়ে পরিতৃপ্তি খোঁজেন। বদলে গেছে পয়লা বৈশাখের রূপ-রং। তবু বলতেই হবে বৈশাখের প্রথম সকালটা বা সন্ধেটা আজও অন্য আর পাঁচটা দিনের চেয়ে কোথাও যেন আলাদাই।
আরও পড়ুন-রাজ্যপালের স্বাক্ষর ছাড়াই তামিলনাড়ুতে ১০ আইন পাশ, দেশের ইতিহাসে প্রথম এই পদক্ষেপ
হলই বা সেকালের পয়লা বৈশাখের থেকে একালের পয়লা বৈশাখের আকাশপাতাল ফারাক। মনটা এদিন গুনগুনিয়ে ওঠেই। কালীপ্রসন্ন সিংহ তাঁর ‘হুতোম প্যাঁচার নকশা’য় চড়কের বিশদে বর্ণনা দিয়েছেন কিন্তু পয়লা বৈশাখ বর্ণনা করছেন একটিমাত্র বাক্যে, ‘খাতাওয়ালারাই নতুন বৎসরের মান রাখেন।’ খাতাওয়ালা, অর্থাৎ জমিদার এবং বেনে সম্প্রদায়। এদের মধ্যেই সীমিত ছিল পয়লার গল্প। এই দিনটা ছিল জমিদার-মুৎসুদ্দির বার্ষিক দেনাপাওনার হিসেব মেলানোর দিন। মুঘল আমলে ইরানীয় প্রভাবে ‘নওরোজ’ পালিত হত ধুমধাম করে, পাঞ্জাবে এসময়ে ‘বৈশাখী’ পালিত হওয়া শুরু হয় গুরু গোবিন্দ সিংয়ের ‘খালসা’ গঠনের মাধ্যমে, আর অসমেও ‘রঙ্গালি বিহু’ পালিত হয় বৈশাখ মাসকে কেন্দ্র করে। এদিকে বাংলায় নবান্ন ছিল কিন্তু নববর্ষের উদযাপন সেই অর্থে ছিল না। তবে কৃষ্ণনগরের বারোদোলের মেলার সঙ্গে নববর্ষের ক্ষীণ একটা যোগসূত্র ছিল। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র প্রবর্তিত এই উৎসবে কৃষ্ণনগরের গোপ সম্প্রদায় ‘কপিলাগীতি’ গেয়ে পথ পরিক্রমা করতেন। এর রেশ আজও কিছুটা রয়ে গিয়েছে সেখানে।
ঔপনিবেশিক রাজধানী শহর কলকাতায় ইংরেজদের ফার্স্ট জানুয়ারির অনুকরণেই সম্ভবত পয়লা বৈশাখকে নববর্ষের রূপ দেওয়া এবং খানিক পাল্লা দিয়েই বাঙালিয়ানার অস্তিত্ব রাখতে উৎসবে মেতে ওঠা। ফলে পুণ্যাহ বা হালখাতার এই দিনটা পরবর্তীকালে সর্বসাধারণের আমোদপ্রমোদের একটা দিনে পরিণত হল। বিশ শতক থেকেই পয়লা বৈশাখ বাঙালির বিনোদন জীবনের মরমে প্রবেশ করে গেল। আজ যুগ অনুযায়ী রং পাল্টে পাল্টে প্রাসঙ্গিকতা পেতে থাকল।
পয়লার প্রাসঙ্গিকতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বড় ভূমিকা রয়েছে। কারণ বাঙালি রবীন্দ্রনাথেই বাঁচে। জোড়াসাঁকোর ঠাকুরপরিবারে মহাসমারোহে উদযাপিত হত পুণ্যাহ বা নববর্ষের অনুষ্ঠান। রবীন্দ্রনাথের কথায় এই দিনটা হল জমিদারি সেরেস্তাঁর ‘পুণ্যাহ’, খাজনা আদায়ের প্রথম দিন। কাজটা তখন নিতান্তই বিষয়াষয় সংক্রান্তই ছিল। কিন্তু একটা সময় জমিদারি মহলে সেটা হয়ে উঠল পার্বণ। সবাই খুশি। যে খাজনা দেয় সেও, আর যে খাজনা বাক্সেতে ভর্তি করে সেও। এর মধ্যে হিসেব মিলিয়ে দেখবার গন্ধ ছিল না। যে যা দিতে পারে, তাই দেয়। ২৫ বৈশাখ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম। কিন্তু শান্তিনিকেতনে সেই সময়ে জলের নিদারুণ কষ্ট থাকত। ফলে পয়লা বৈশাখের দিনেই তাঁর জন্মদিন পালন করা হত।
আরও পড়ুন-ঝিরঝিরে বৃষ্টির দোসর ধুলোঝড়, বিপর্যস্ত বিমান পরিষেবা
উনিশ শতকের বাংলার সবচেয়ে আলোচিত জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে পয়লা বৈশাখ পালন ও রান্নাবান্না সবটাই ছিল স্বতন্ত্র এবং আধুনিক। আসলে বরাবর পাবর্ণ প্রিয় বাঙালির উৎসব কবজি ডুবিয়ে খাওয়া। ঠাকুরবাড়িতে পয়লা বৈশাখের খাওয়াদাওয়া হত দোতলার টানা বারান্দায়। টানা বারান্দায় মেঝেতে কার্পেটের আসন লম্বা করে বিছিয়ে সেখানে কলাপাতা ঘিরে মাটির খুরিতে পরিবেশিত হত কাঁচা ইলিশের ঝোল, চিতল মাছ আর চালতা দিয়ে মুগের ডাল, নারকেল চিংড়ি, মাছের পোলাও, আম দিয়ে শোল মাছ-সহ নানা সুস্বাদু খাবার।
নিত্যনতুন রান্না খেতে ভালবাসতেন রবীন্দ্রনাথ— দইয়ের মালপো, পাকা আম দিয়ে তৈরি মিষ্টি, চিঁড়ের পুলি। মৃণালিনীর তৈরি নববর্ষের জনপ্রিয় মিষ্টি ‘এলোঝেলো’ কবির খেতে লাগত বেশ, কিন্তু নামটা তেমন পছন্দ না হওয়ায় বদলে তার নতুন নাম দিলেন ‘পরিবন্ধ’। একবার বৈশাখের উৎসবে মৃণালিনীকে দিয়ে মানকচুর জিলিপিও তৈরি করিয়েছিলেন।
রবীন্দ্রনাথের জীবনের শেষ নববর্ষ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে৷ কবির শেষ জন্মদিন, অর্থাৎ ৮০তম জন্মদিনও পালিত হয়েছিল পয়লা বৈশাখের দিন।
কয়েক যুগ আগেও বাংলা নববর্ষের ভোরে আকাশবাণী কলকাতায় বাজত রবীন্দ্রসঙ্গীত। দূরদর্শনে বসত বৈশাখী আড্ডা। টিভিতে রামকুমার চট্টোপাধ্যায়, হৈমন্তী শুক্লা, ঋতু গুহ, বুদ্ধদেব গুহ, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, বিভাস চক্রবর্তীর মতো ব্যক্তিত্বরা আড্ডা জমাতেন। আড্ডা দেখতে দেখতে বেশ কাটত সকালটা। সেই আড্ডা এখনও হয় প্রায় প্রতিটা টিভি চ্যানেলেই তবে বদলে গেছে তার রূপ-রং। এখন নামী মেগা ধারাবাহিকের নায়ক-নায়িকারা বা নন-ফিকশন-শো-এর কুশীলবেরা জবরদস্ত পয়লা পালন করে। দু-ঘণ্টার পয়লা পার্বণ চলে। টিভির সামনে বসলেই উৎসবের আমেজ ঘরের মধ্যে। সাজ থেকে পেটপুজো বিজ্ঞাপনী কায়দায় সব হয় সেখানে। তাই পয়লা এখন যত না মনে তার চেয়ে বেশি বিজ্ঞাপনে। সকাল সকাল স্নান সেরে একটা নতুন কিছু গায়ে দেবার চল এখন ততটা নেই। এখনের পয়লা মানে একটা সুতির শাড়ি সঙ্গে কনট্রাস্ট ব্লাউজ। কানপাতা খোঁপাতে জেল লাগিয়ে একপাশে ফ্লোরাল ব্যান্ড। বড় ঝুমকা, নাকে বড় নোজপিন হাতে রুপোলি বালা। ছেলেদের ভেজিটেবল প্রিন্টের ধোতি-কুর্তা-ঘড়ি আর চশমা। অফিসে কাজের ফাঁকে একটু সবাই মিলে ফোটোসেশন, খাওয়াদাওয়া— ব্যস!
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে ইসলাম ধর্মাবলম্বী নাগরিক সমাজ স্থগিত রাখল আজ ওয়াকফ বাঁচাও মহামিছিল
পয়লা বৈশাখের আগে দুটো সপ্তাহে জবরদস্ত কেনাকাটার চলটা এখনও একইরকম। দোকানের বাইরে লম্বা লাইন। দেওয়ালে, শপিং মলে, অনলাইন সাইটে আর ছোট থেকে বড় রেস্তরাঁয় সর্বত্র চৈত্র সেলের বিজ্ঞাপন। বাঙালির একান্ত পয়লা বৈশাখের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল চৈত্রের সেল। ছোট্ট মফসসলি মার্কেট থেকে শহুরে বাজার শিয়ালদহ, হাতিবাগান, হাওড়া, ধর্মতলা মার্কেট, শপিং মলগুলোয় নতুন জামাকাপড়ের গন্ধ। চৈত্র সেলের বাজারে আরও কত জিনিসে ছাড়। দোকানদারদের হাঁকাহাঁকি। একটা নতুন পরার অজুহাতে পুজোর দুটো এক্সট্রা জামা বা শাড়িও কিনে ফেলা। জুতো কেনার এর চেয়ে ভাল সময় আর নেই। বড় বড় শাড়ির দোকানে দু’হাজার টাকার শাড়ি এখন মাত্র ৮৫০ টাকায়। এত ছাড় আর কে দিতে পারে চৈত্র সেল ছাড়া! বাড়ির মা, কাকিমা, জেঠিমাদের সারাবছরের ছাপা শাড়িগুলো এই সময় কিনতেই হবে। এখন যদিও সারাবছর কোনও না কোনও সেল চলেই তাও অন্তত এক-আধটা বেড কভার না কিনলে মনে হয় না পয়লা বৈশাখ এল। সেলের বাজারে অফিস ছুটি না থাকলেও অফিস ফেরতা বহু মানুষ টুক করে ঢুঁ মারেন বাজারে। যাঁরা পারছেন না তাঁদের জন্য অনলাইন সাইট। বাড়ি বসে দুধের স্বাদ ঘোলে মিটলেও সেলের কেনাকাটার মজাটা কিন্তু অধরা রয়ে যায়।
পয়লার আগের দিন আবার চৈত্র সংক্রান্তি। বাঙাল বাড়ির পয়লা বৈশাখের পদ হল লাবণ। খই গুঁড়ো করে লোহার কড়াইতে সেই গুঁড়ো খই পাক দিয়ে তৈরি হয় সেই পদ। এছাড়া চিঁড়ের মোয়া, মুড়ির মোয়া তো আছেই। সংক্রান্তির সকালে ওইসবই নাকি খেতে হয় জলখাবারে, সঙ্গে থাকবে মিষ্টি আর দই। যদিও এখন অনেক বাড়িতেই এই সব নিয়ম আর নেই। গ্রাম বাংলায় নাকি আবার এইদিন তিতে শাক খাওয়ার চল রয়েছে, গায়ে কাঁচা হলুদ আর নিমপাতা বাটা মাখার রীতি রয়েছে। এদিন আবার কেউ বাসি খাবে না। চৈত্র সংক্রান্তিতে চড়ক থাকে গ্রামে। কিন্তু কী বাঙাল, কী ঘটি পয়লা বৈশাখ মানে পেটপুজোর অজুহাত। আগে অনেক বাড়িতে পান্তাভাত আর ইলিশ হতই এখন রেস্তোঁরাগুলোয় দেদার আয়োজন। পান্তাভাত, ইলিশ মাছ-সহ যা চাইবেন পাবেন। রেস্তোঁরাগুলো ভুলতে দেয় না কোনও পার্বণকেই। তাই যত ব্যস্ত কর্পোরেটি হন না কেন দিনের শেষে ফ্যামিলি নিয়ে পয়লা বৈশাখের স্পেশাল ফিশ থালি, মাটন থালি, মহাভোজ থালি, চেখে দেখতে হাজির হয়ে যান বাঙালি রেস্তোরাঁয়। আম বাঙালি সারাবছর যতোই চাইনিজ, পিৎজা, বার্গার, বিরিয়ানি খান না কেন ওই দিন বাড়ির পাতটি ছেড়ে রেস্তোঁরায় বাড়ির খাবারটি খেতে যাবেনই যাবেন। বাজারে পাওয়া দশটাকা পিসের গন্ধরাজ লেবু সহযোগে মুগের ডালটি প্রচুর দাম দিয়ে রেস্তোরাঁতেই খাবেন। লুচি সহযোগে ছোলার ডাল আর কাশ্মীরি আলুরদম খাবার পর পেল্লাই ডায়মন্ড ফ্রাই, মাটন আর পোলাও খেতে খেতে নিজেকে বাঙালি ভেবে গর্ববোধ করবেন।