অপরাজিতা জোয়ারদার, রায়গঞ্জ: রাজ্যের মধ্যে প্রথম উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের নতুন উদ্যোগ, মডেল অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র গড়ে উঠতে চলেছে জেলার প্রত্যেক ব্লকে। এই লক্ষ্যেই জেলার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিকে নতুন ভাবে সাজানোর কাজ শুরু হয়েছে জেলায়। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। জেলা পরিষদ, ব্লক, পঞ্চায়েত সমিতি-সহ বিভিন্ন খাতের অর্থ দিয়ে কাজ শুরু হবে।
আরও পড়ুন-জম্মুতে তৃণমূল কংগ্রেসের ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
মহকুমাশাসক কিংশুক মাইতি-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা কেন্দ্রগুলি পরিদর্শন করছেন যাতে করে প্রত্যেক বিভাগের কাজ আরও ভাল করা যায়। রাজ্য সরকারের অ্যাপেও সেই কাজের তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে। প্রত্যন্ত এলাকা, পঞ্চায়েত বা পুর এলাকা গুলিতে শিশু ও মা এর পুষ্টি, শিশুর স্বাস্থ্য, পড়াশোনা সবটার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। এলাকায় ঘুরে শিশু ও নতুন মা-এর সঠিক তথ্য সংগ্রহ থেকে পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ, এমনকী প্রতিমাসে শিশুর ওজন, উচ্চতা, বৃদ্ধি বিকাশ সবটাই নথিভুক্ত করা হয়। ডিপিও আই সি ডি এস নারগিস পারভিন জানান, শিশুদের বিকাশের জন্য অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারগুলি গুরুত্বপূর্ণ তাই উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রথম প্রয়াস এই কেন্দ্রগুলিকে শিশুদের জন্য আরও আকর্ষণীয় করে তোলা। জেলার মোট ৩৭৮৭টি কেন্দ্রে সেই কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। প্রত্যেক ব্লকে থাকবে মডেল আই সি ডি এস সেন্টার। গত বছর থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে দেড় থেকে ছয় বছরের শিশুদের অটিজম-সহ বিভিন্ন ডিসঅর্ডার নির্ণয়ের কাজও শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে পিডিয়াট্রিক্স, সাইকোলজিস্ট-সহ বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসক দ্বারা যেকোনও ডিসঅর্ডার নির্ণয় করে প্রয়োজনে স্পেশাল এডুকেটর দিয়ে ব্লক অফিস সংলগ্ন রিসোর্স রুমে শিশুদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। অপর দিকে জেলা সভাধিপতি পম্পা পাল জানান, প্রত্যেক ব্লকে প্রথমাবস্থায় ৩টি করে মডেল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। যার প্রতিটি কেন্দ্র ও ক্যাম্পাস সংস্কারে আনুমানিক ২ লক্ষ টাকা ব্যায় হবে। জেলার এই উদ্যোগে শিশু ও মায়েরা উপকৃত হবেন বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, এর আগে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে উত্তর দিনাজপুর জেলায় গড়ে ওঠে মডেল স্কুল জ্ঞানালয়। উত্তর দিনাজপুরের এই জ্ঞানালয় স্কচ পুরস্কারে সম্মানিতও হয়।