প্রতিবেদন : ট্রাফিক আইন ভাঙলে কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্টের হাতে জরিমানার টাকা তুলে দিতে আর নিজের পকেট হাতড়াতে হবে না যানের মালিক বা চালককে। ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড সুইপিং করেই এবারে মেটানো যাবে স্পট ফাইনের টাকা। পুজোর আগেই মহানগরীতে এই ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। আপাতত শহরের ৪টি ট্রাফিক গার্ডে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে এর সাফল্যের সম্ভাবনা। স্পট ফাইনে অযথা জটিলতা এবং বিলম্ব এড়াতেই এই অনলাইন জরিমানা ব্যবস্থা। ট্রাফিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার সন্তোষ পান্ডের নেতৃত্বে আধিকারিকদের একটি বিশেষ টিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সমস্ত বিষয়টি দেখাশোনা করার। শুধু তাই নয় কলকাতা পেতে চলেছে সর্বপ্রথম ই-কোর্ট। চতুর্থ ব্যাঙ্কশাল কোর্টকে ই-কোর্টে (E-Court) রূপান্তরিত করার অনুমতি কলকাতা হাইকোর্ট দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মধ্য কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, উত্তর কলকাতা-সহ মহানগরীর চারটি ট্রাফিক গার্ডে ট্রাফিক সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তির জন্যই এই ই-কোর্ট (E-Court)।
আরও পড়ুন-বাংলা ভাগের চক্রান্তের বিরুদ্ধে বার্তা দিয়ে অভিষেক বললেন, উত্তরবঙ্গ-দক্ষিণবঙ্গ নয়, একটাই পশ্চিমবঙ্গ
অনলাইন জরিমানা ব্যবস্থায় হাওড়া ব্রিজ ট্রাফিক গার্ড, হেডকোয়ার্টার্স ট্রাফিক গার্ড, সাউথ ট্রাফিক গার্ড এবং জোড়াবাগান ট্রাফিক গার্ড ইতিমধ্যেই এগিয়ে গিয়েছে অনেকটাই। কর্তব্যরত সমস্ত ট্রাফিক সার্জেন্টকে দেওয়া হচ্ছে অত্যাধুনিক ই-চালান মেশিন। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক জানালেন, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি এই ব্যবস্থা চালু করার জন্য নেওয়া হচ্ছে সবরকমের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে ট্রায়াল এরিয়া সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হাওড়া ব্রিজ, স্ট্র্যান্ড রোড, পোস্তা, বড়বাজার, মহাত্মা গান্ধী রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, শ্যামপুকুর, ডালহৌসি, এসপ্ল্যানেড, বাবুঘাট, ময়দান এবং এক্সাইড মোড়কে আনা হচ্ছে এই ব্যবস্থার আওতায়। ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারীদের নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা এবং যথাসময়ে তা ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও অফলাইনের পাশাপাশি থাকবে অনলাইন ব্যবস্থা। নতুন ব্যবস্থা নিয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠক ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে লালবাজারে। সেখানে ই-চালান মেশিনের সুবিধে-অসুবিধের দিকগুলি খতিয়ে দেখা হয়েছে। সিস্টেমের ধীরগতির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন কয়েকজন সার্জেন্ট। দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ডেভেলপারকে। এই সিস্টেম চালু হলে পুজোয় শহরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছুটা সুবিধে হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।