কুমেরু অভিযানে বাংলার প্রথম মহিলা

বাংলার বিজ্ঞান-গবেষণার মুকুটে নয়া পালক। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গবেষক পাড়ি দিলেন সুদূর কুমেরু (Kumeru) মহাসাগরের উদ্দেশে।

Must read

প্রতিবেদন : বাংলার বিজ্ঞান-গবেষণার মুকুটে নয়া পালক। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গবেষক পাড়ি দিলেন সুদূর কুমেরু (Kumeru) মহাসাগরের উদ্দেশে। দেশের ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রকের অধীনস্থ ন্যাশনাল সেন্টার ফর পোলার অ্যান্ড ওশান রিসার্চ (এনসিপিওআর) প্রকল্পের আওতাধীন অভিযানে বাংলা তথা গোটা পূর্ব ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন স্নিগ্ধা ভৌমিক এবং সৌম্যশুভ্র বৈষ্ণব। রাজ্যের কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রথম মহিলা গবেষক হিসেবে কুমেরু মহাসাগরে অনুসন্ধান চালাতে চলেছেন স্নিগ্ধা। ইতিমধ্যেই মরিশাস পৌঁছে গিয়েছেন মেরিন বায়োলজির দুই বাঙালি গবেষক। রবিবারই তাঁরা জাহাজে রওনা দেবেন কুমেরু মহাসাগরের দিকে। একমাসেরও বেশি সময় ধরে আন্টার্কটিকায় ভারতের গবেষণাগার ‘ভারতী’র কাছেই প্রিডজ বে নামে একটি উপসাগরীয় অঞ্চলে অনুসন্ধান চালাবেন। এর আগে এনসিপিওআর প্রকল্পের আওতায় ১২টি অভিযান চালানো হয়েছে কুমেরু মহাসাগরে। সেই অভিযানগুলিতে বিজ্ঞানী কিংবা অধ্যাপকদের অংশগ্রহণের নিদর্শন থাকলেও অভিযানে স্নিগ্ধা ও সৌম্যশুভ্রর মতো গবেষকদের যোগদান এই প্রথম।

আরও পড়ুন-মাধ্যমিক পরীক্ষায় চলবে স্পেশাল বাস

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের জুওলজি বিভাগের স্নিগ্ধা প্রধানত সমুদ্রতলের দৃশ্যমান জীব নিয়ে গবেষণা করেন। আর সৌম্যশুভ্র কাজ করেন সমুদ্রের আণুবীক্ষণিক জীবজগৎ নিয়ে। এবারের অভিযান নিয়ে স্নিগ্ধা জানিয়েছেন, বাস্তুতন্ত্র আমার খুব প্রিয় বিষয়। কুমেরু মহাসাগরে সেই গবেষণার সুযোগ পাওয়া তো স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো। অন্যদিকে, সৌম্যশুভ্র জানিয়েছেন, টিভির পর্দায় ও বইয়ের পাতায় তুষারাবৃত সাগর দেখেছি। বাস্তবে সেখানে যেতে পারা স্বপ্নপূরণের শামিল। ২০২২ সালেই স্নিগ্ধাদের কাছে এই সুযোগ এসেছিল। কিন্তু সেবার অভিযানই বাতিল হয়ে যায়।

Latest article