সংবাদদাতা, হরিপুর : খেজুরির পর এবার কাঁথির হরিপুর। সারা বাংলা তৃণমূল মৎস্যজীবী ইউনিয়নের ডাকে, ‘সমুদ্রসাথী’ প্রকল্পে অর্থবরাদ্দ করায়, মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে ধন্যবাদজ্ঞাপক সভায় মৎস্যজীবীদের ভিড় উপচে পড়ল। বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী এই হরিপুর এবং জুনপুট এলাকা মাছধরা ও শুঁটকি মাছের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। এত মৎস্যজীবীদের বাস এবং মৎস্য বিষয়ক কর্মকাণ্ড হয় বলে, জুনপুট ‘মাছের পকেট’ নামে খ্যাত।
আরও পড়ুন-আসানসোলে গুরুদ্বার সিং, সভার স্মারকলিপি ফাঁড়িতে
গঙ্গামন্দিরের সামনে সভার প্রধান বক্তা রাজ্য আইএনটিটিইউসি সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য সরকার গরিব খেটেখাওয়া মানুষের জন্য কাজ করছে। উল্টোদিকে দিল্লির কেন্দ্র সরকার ঠিক করেছে বাংলাকে ভাতে মারবে। কেন্দ্রের এমন বিমাতৃসুলভ মনোভাবের প্রধান পান্ডা কাঁথির গদ্দার অধিকারী। তিনি চিঠি দিয়ে কেন্দ্রকে বলে দিচ্ছেন, বাংলাকে যেন টাকা না দেওয়া হয়। কিন্তু এ রাজ্যে যতদিন মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন ততদিন গরিব মানুষের অসুবিধা হতে দেবেন না। তাই তিনি সমুদ্রসাথী করেছেন, একশো দিনের টাকা দেবেন বলেও ঘোষণা করেছেন। লোকসভার নির্বাচনে অধিকারীদের সঙ্গে তাঁর বিজেপিকেও যোগ্য জবাব দিতে হবে। পূর্ব মেদিনীপুরে মৎস্যজীবীদের ৪২টি খটি রয়েছে। ১৯ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি এই খটিগুলিতে ক্যাম্প করেছে সারা বাংলা তৃণমূল মৎস্যজীবী ইউনিয়ন। সমুদ্রসাথী প্রকল্পে যাতে কোনও মৎস্যজীবী বাদ না পড়েন, তার জন্য এই ক্যাম্পগুলোতে ইউনিয়ন থেকে সহায়তা করা হয়েছে। অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য রাজ্য সরকারের ‘বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা’ প্রকল্পে শ্রমজীবী মানুষদের যুক্ত করার নির্দেশ দেন ঋতব্রত। সভায় ছিলেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি পীযূষকান্তি পণ্ডা, জনাব হাবিবুর রহমান, শক্তিপদ মণ্ডল, বিকাশ বেজ, সুনীত পট্টনায়ক প্রমুখ।