প্রতিবেদন : শুক্রবার থেকে বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গণে শুরু হল বেঙ্গল শপিং ফেস্টিভ্যাল। শারদোৎসবের আগে এই উৎসবে অংশগ্রহণ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, নেপাল, ভুটান, মায়ানমার-সহ আরও একাধিক দেশ। দেশ-বিদেশের নামীদামি ব্র্যান্ডের পণ্যের পাশাপাশি বাংলার জিআই-স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ২৭টি পণ্য নিয়ে রয়েছে প্রায় চারশোটি স্টল। ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এই উৎসব।
আরও পড়ুন-বন্যার্তদের পাশে সাংসদ মিতালি ও তৃণমূল
এদিন ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষুদ্র-কুটির শিল্প দফতর, স্বনির্ভর গোষ্ঠী, তাঁতি ও বস্ত্রশিল্পীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অমিত মিত্র, শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা, অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, আয়োজক সংস্থা সিডব্লুবিটিএ-র সভাপতি সুশীল পোদ্দার প্রমুখ। এই শপিং ফেস্টিভ্যালে জামাকাপড়, ইলেকট্রনিক্স, আসবাবপত্র, গৃহসজ্জা, ভোগ্যপণ্য, হস্তশিল্প, ফ্যাশন, গাড়ি, গয়না, খেলাধুলার জিনিসপত্রও পাওয়া যাবে। সঙ্গে ফুড ফেস্টিভ্যাল ও গানের ইভেন্টও থাকবে। মানুষের আগ্রহ বাড়াতে জিনিসপত্রে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা থাকছে। শুধু বেঙ্গল শপিং ফেস্টিভ্যালই নয়, শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে খুলে গেল রাজ্যের আরও তিনটি ‘বাংলার শাড়ি’র আউটলেটও। হলদিয়ার দুর্গাচক, নিউটাউনের ইকো পার্ক ও ফুলিয়ায় খুলল তিনটি দোকান। পুজোর আগে এসব জায়গা থেকেও নিজেদের পছন্দমতো খাঁটি ঐতিহ্যের শাড়ি পছন্দ করে কিনতে পারবেন বাংলার মানুষ। পাঁচদিনের এই শপিং ফেস্টিভ্যালে দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কেনাকাটার সুবর্ণ সুযোগ থাকছে আমজনতার জন্য। লক্ষ্মণভোগ, হিমসাগর, ফজলি আম থেকে শুরু করে রসগোল্লা, মিহিদানা, জয়নগরের মোয়া সবই রয়েছে ফেস্টিভ্যালে। মঞ্জুষা, তন্তুজ, বাংলার শাড়ি, বিশ্ববাংলা মার্কেটিং কর্পোরেশন, বঙ্গশ্রী, রেশম শিল্পীদের স্টলও থাকবে ফেস্টিভ্যালে। আমাজন, ফ্লিপকার্ট এবং ইউনেস্কোর স্টলও রয়েছে। ক্রেতাদের জন্য প্রতিদিন থাকছে বিশেষ উপহার। বাংলার যেক’টি জিওগ্রাডিক্যাল ইন্ডিকেশন বা জিআই পণ্য আছে, সবক’টিকেই এই অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা।