সংবাদদাতা, পটাশপুর: কেলেঘাই, কপালেশ্বরী, বাগুই নদীর জলে কিংবা বিভিন্ন
জলাধারের ছাড়া জলে ফি বছর পটাশপুর, ভগবানপুরে বন্যা পরিস্থিতি হয়। সমস্যার স্থায়ী সমাধানে পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিক চান, ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান’-এর মতো ‘পটাশপুর মাস্টার প্ল্যান’ হোক। এ নিয়ে সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র ও জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজির সঙ্গে কথাও বলেছেন। রবিবার জানালেন, ‘গত কয়েকদিন বন্যাপরিস্থিতি দেখতে বেরিয়ে পটাশপুরের বানভাসি মানুষের দুর্দশার চিত্র খুব নাড়া দিয়েছে। প্রয়োজনে সেচমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করব।’
আরও পড়ুন-দিনে ২ লক্ষ কোভিড ভ্যাকসিন দিয়ে নজির সৃষ্টি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের
বন্যাপরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে। বাড়ছে জলস্তর। পটাশপুর ২ ব্লকের শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাশিমপুর, ধুসরদা,বাগমারি সহ পঁচেট পঞ্চায়েত এলাকা এবং খাড় ৩ নম্বর অঞ্চলে জল বাড়ছে। বহু মানুষ ত্রাণশিবিরে। ১ ব্লকের গোকুলপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তাপিন্দা, পালপাড়া, অমর্ষি, ব্রজলালপুর, চিস্তিপুর-সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত। কেলেঘাই নদীর জলে ভগবানপুর ২ ব্লকের টাবেড়িয়া, বাসুদেববেড়িয়া, আড়গোয়ল, অর্জুননগর, বরোজ নতুন করে প্লাবিত। ইটাবেড়িয়া চালকলে জল ঢুকে লক্ষ লক্ষ টাকার ধান ও চাল নষ্ট হয়েছে। ভগবানপুর এক ব্লকের বিভীষণপুর বাজার জলমগ্ন। তালতলা বিদ্যুৎ সাবস্টেশন এক কোমর জলের তলায়। ফলে শনিবার থেকেই বিস্তৃর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। কোথাও ভেঙে পড়ছে কাঁচাবাড়ি । পটাশপুর ও ভগবানপুর মিলিয়ে ২০ – ২৫ হাজার মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে প্রকাশ। সবজি ও ধান জমি জলের তলায়।