নাইট আউট-এ বেরিয়েছে ওরা দল বেঁধে। ওরা মানে কলেজের ফ্রেন্ডসরা। রাতে থাকবে ঋকের ফ্ল্যাটে। মেঘ, সৌমিল, আহিলি রিক, পূজা আর নন্দিনী। বাইরে ডিনার সেরে ফ্ল্যাটে আসবে। সারারাত চিলড বিয়ার আর সঙ্গে নিজেদের ডেটিংয়ের গল্প।
শুরুতেই মেঘের পালা। লিভ টুগেদার, ডেটিং থেকে ও বহুদূরে। নন্দিনী বলল— নিশ্চিত দাগা খেয়েছে। মেঘ মনে করে এসব ফার্স্ট ডেটিংয়ের যুগে ও একেবারে বেমানান।
‘সিচুয়েনশনশিপ’, ‘ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড’, ‘ফ্রেন্ড উইথ বেনিফিটস’— এ-সবে হাঁপিয়ে উঠেছে ওরা। চ্যাটিংয়ের তিন দিনের মাথায় প্রথম দেখা— ডেটিং। দ্বিতীয় দিনেই প্রেমের প্রস্তাব। তৃতীয় দিন থেকে ‘ইন আ রিলেশনশিপ’। ছয় মাস যেতে না যেতেই ব্রেকআপ। আবার হন্যে হয়ে লেফট-রাইট সোয়াইপে সঙ্গী খোঁজার দৌড়ে হাঁপিয়ে উঠছে জেন-জি। তাই একটু থেমে, এক পা পিছিয়ে তরুণ প্রজন্ম এবার ঝুঁকছে ‘সিমার ডেটিং’–এর দিকে।
আরও পড়ুন-জগন্নাথধামে আপ্লুত বিদেশি ভক্তেরদল, দর্শনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানালেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি
সিমার ডেটিং
ধীরে সমীরে
মেঘের মতো জেন-জি-র ছেলেমেয়েরা তাই এখন সিমার ডেটিংয়ের পথে হাঁটছে। ধীরে ধীরে চিনে নিতে চাইছে পার্টনারকে। আগেকার দিনে যেমন সুস্বাদু রান্নার সহজ সূত্র ছিল সিমার কুকিং, ঠিক তেমনই সম্পর্কে এখন সিমার ডেটিং। ধীরে ধীরে অল্প আঁচে বা গ্যাসে রান্না করলে যেমন তেল-মশলা ভাল করে সবজির ভেতরে মেশার সময় ও সুযোগ পায়, পুষ্টিগুণ অটুট থাকে, পোড়ার সম্ভবনা কম থাকে, খেতে সুস্বাদু লাগে— সিমার ডেটিংও ঠিক একই ভাবে সম্পর্ককে সুমধুর করে তোলে। প্রথম দিন ডেটে গিয়েই যে তার সঙ্গে প্রেম করতে হবে এমন কথা নেই। বরং একটু সময় নিয়ে এগোতে চাইছে এই জেন-জি। প্রেম, একে অন্যকে জানা, দু’জনের মত বিনিময়ের মতো ধাপগুলো উপভোগ করতে চাইছে তারা। প্রতিশ্রুতি দেওয়ার আগে সময় নিচ্ছে। কোনও তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না। সম্পর্কের নাম দেওয়ার আগে ভালভাবে যাচাই করছে। ধীরে ধীরে প্রেম অনুভব করা সম্পর্কে চাপ কমানোর জন্যই, এই ডেটিং সিমার ডেটিং হয়ে উঠেছে।
অনলাইন প্রেমের দুনিয়ায়, প্রেমের সংজ্ঞাই বদলে গেছে। তরুণদের ডেটিং ট্রেন্ডে গতি কমতে শুরু করেছে। তারাও বুঝে গেছে একটা সম্পর্কে জড়ানো যতটা সহজ, ভেঙে ফেলা আরও বেশি সহজ। তাই জেন-জি এখন সচেতন। সম্পর্ক থিতু করতে চায়। হুটহাট না করে সিমার ডেটিংয়ে মন লাগাচ্ছে তারা। তারাও বিশ্বাস করে সম্পর্কের বাইশ গজের পিচে শুরু থেকেই স্টেপ আউট করে ওভার বাউন্ডারি না-মেরে পিচে টিকে থাকতে হবে। তাহলেই রান উঠবে। সম্পর্ক মধুর হবে। সুখের হবে। দীর্ঘস্থায়ী হবে। শান্তি থাকবে। ধীরে ধীরে সম্পর্কের মধ্যে তৈরি হবে নির্ভরশীলতা, বিশ্বস্ততা, সম্মান এবং বোঝাপড়া। এই সিমার ডেটিংয়ের মাধ্যমে যত ধীরে সম্পর্ক তৈরি হবে, ততই গভীরতা বাড়বে, এটাই বিশ্বাস মেঘের মতো জেন-জি প্রজন্মের।
আরও পড়ুন-পূর্ণমকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান কৃতজ্ঞ রজনী
ফেক্সটিং ডেটিং
লেখাতেই সব শেষ
সবাই অবশ্য সিমার ডেটিংয়ের পিছনে ছুটছে এমনও নয়। ওদের ফ্রেন্ডসদের মধ্যে নন্দিনী মেঘের সঙ্গে সহমত নয়। ও অবশ্য নতুন ডেটিং ফেক্সটিং (ফাইটিং ওভার টেক্সট)-এ অনেক বেশি সাবলীল। জেন-জি-র এই ডেটিং ভালবাসার নতুন শব্দকোষ তৈরি করেছে। এখানে মান-অভিমান, অভিযোগ-অনুযোগ, রাগ-অনুরাগ সবই হয় টেক্সটে। ডেটিং এখন লিখিত। মুখিত নয়। মুখোমুখি দেখা না করেও ঝগড়া হয় টেক্সটে। ইমোজি-ইমোজি আর গিফি-গিফিতে।
ন্যানো শিপস ডেটিং
আমরা তো অল্পেই খুশি
ডেটিংয়ের এই গল্পে সৌমিল ইরিটেট হয়ে বলে— এত সময় তোরা পাস কথা থেকে! ওর বিশ্বাস এইসব না করে ন্যানোশিপসই ভাল। সকালে ঘুম থেকে উঠে ডেটিং অ্যাপসের ইনবক্সে ঢুঁ মেরে যদি দেখা যায় সারারাত কথা বলা ছেলেটি আড়মোড়া ভাঙার ইমোজি পাঠিয়েছে, সেটা উষ্ণ আলিঙ্গনের মতো। আবার বিকেলে কলেজ থেকে ফিরে বা অফিস থেকে ফিরে ক্লান্তি কাটিয়ে ফোনটা হাতে নিয়ে যদি দেখা যায়, ইনবক্সে মেয়েটি এককাপ ধোঁয়া ওঠা কফির ছবি পাঠিয়েছে— তাহলে তো আর কথাই নেই। এরকম ছোট ছোট প্রচেষ্টা, অনুভূতি, যত্নগুলো অনলাইন, অফলাইন দুই ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো জেন-জি-র ভাষায় ন্যানোশিপস ডেটিং। অনলাইন থেকে পরিণতির দিকে নিয়ে যায় এই ন্যানোশিপস।
মাইক্রো ম্যান্স ম্যানিয়া আপনা ভুলিয়া
ডেটিং অ্যাপ বামবেল-এর এক সমীক্ষা বলছে, জেন-জিরা এখন খুব কমই সম্পর্ককে সারাজীবন বয়ে নিয়ে যেতে চায়। বরং তারা এখন ছোট ছোট টেম্পোরারি রিলেশনশিপে আগ্রহী। কোনও এক বিকেলে কারওর সাথে মন খুলে কথা বলা, ভাল সময় কাটানো, কারওর সঙ্গে কোথাও ঘুরে আসা, সুন্দর একটা সম্পর্ক তৈরি করা— এই সব। মানে এই নয় যে তার সাথে সারা জীবন কাটাতে হবে। একে জেন-জি বলে মাইক্রো-ম্যান্স ম্যানিয়া— এখানে কোয়ালিটি টাইম স্পেন্ডকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।
ডেটিংয়ের জন্য নেটিজেনেরা ডেটিং অ্যাপের নির্ভরতা তৈরি করেছে। জালে তারা বন্ধুত্ব, প্রেম, শেষ পর্যন্ত, ভালবাসা— বিয়ে পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে। তবে সম্প্রতি ডেটিং অ্যাপগুলির উপর জেন-জির একটা হতাশা তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি ফোর্বস হেলথের একটি সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, ৭৮ শতাংশ মানুষ এই ডেটিং অ্যাপ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে। ডেটিং অ্যাপ ব্যবহারকারীদের ওপর গবেষণা করার পর জানা গেছে, ৭৮ শতাংশ ব্যবহারকারী ডেটিং অ্যাপগুলি ব্যবহার করতে একদমই চাইছেন না। জেন জি-র এই হতাশার কারণ জিজ্ঞাসা করায় ৪০ শতাংশ বলেছে, তারা এমন কাউকে খুঁজে পায়নি, যার সঙ্গে বন্ধুত্ব করা যায়। ৪১% বলেছে, তাদের প্রত্যাখ্যানের সম্মুখীন হতে হয়েছে বারবার। ১৮ শতাংশ বলেছে, তাদের যৌনতা এবং বডি শেমিংয়ের শিকার হতে হয়েছে। অনেককে প্রেমে ব্যর্থতার সম্মুখীন হতে হয়েছে এই ডেটিং অ্যাপের জন্য। যাদের ওপর গবেষণা করা হয়েছিল তাদের মধ্যে প্রায় প্রত্যেকে প্রতিদিন গড়ে ৫১ মিনিটের বেশি সময় কাটিয়েছে এই ডেটিং অ্যাপের সঙ্গে। উত্তরদাতাদের মধ্যে মেয়েরা ৫২ মিনিট এবং ছেলেরা ৪১ মিনিট সময় কাটিয়েছে এই অ্যাপে।
আরও পড়ুন-বজ্রাঘাত থেকে বাঁচাতে তালগাছ লাগাচ্ছেন শিক্ষক
ড্রাই ডেটিং
চোখের নেশায় হারিয়ে যাওয়া
বিশ্ব জুড়েই জেন-জির নতুন ট্রেন্ড ড্রাই ডেটিং। প্রেমের এক নতুন নেশা। ভারতের জেন-জিরাও এই নেশায় মেতে উঠেছে। চোখে চোখ হাতে হাত কথার নেশাতেই জেন-জির মন মাতাল হয়ে উঠছে। ঘোরাফেরা থেকেই শুরু হচ্ছে প্রেমালাপ। ড্রাই ডেটিংয়ের একটাই শর্ত— পছন্দের মানুষের সঙ্গে দেখা হবে, খাওয়াদাওয়া ঘুরে বেড়ানো সব হবে কিন্তু মাতাল হলে চলবে না। এই ডেটিংয়ে মদ একেবারে নিষিদ্ধ তাই এটা ড্রাই ডেটিং। বামবেল বি-এর ডেটিং ট্রেন্ড বলছে এবছর সবচেয়ে বেশি ড্রাই ডেটিং হয়েছে। ভারতীয়দের ৪৫% ড্রাই ডেটিং পছন্দ করেন। এমনকী সীমানা পেরিয়ে এই ডেটিং জনপ্রিয় হচ্ছে। লেটস হ্যাভ আ ড্রিঙ্ক-এ প্রশ্ন প্রেমের দুনিয়ায় জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে। বরং জেন-জি পছন্দের মানুষের সঙ্গে আরও বেশি চিনতে, পরস্পরের কথা বলাতেই বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছে। একটা সময়ে চিঠি দিয়ে মনের কথা জানানো হত। তারপর ধীরে ধীরে মুখোমুখি দেখা করার প্রবণতা চালু হল। এখন যাকে আমরা ডেটিং বলি। তবে আগেকার ডেটিং আর এখনকার ডেটিং-এর মধ্যে অনেক ফারাক। সেই সময়টা দেখা করা, কথা বলাতেই মানুষজন বেশি স্বচ্ছন্দ ছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। ঝাঁ-চকচকে বারে এক পাত্তর গলায় ঢেলেই শুরু হয় একে অপরকে চেনা-বোঝার পালা। ড্রাই ডেটিং কিন্তু সেই পুরনো সময়ের ডেটিংকেই প্রাধান্য দেয়। যেখানে পানীয়ের নেশা নয়, চোখের নেশাতেই মাতাল করা যায় মনের মানুষকে।
বামবেল বি-এর এই সমীক্ষা বলছে ৩২% মানুষ যারা সিঙ্গল তারা নাকি এই ড্রাই ডেটেই যেতে বেশি পছন্দ করছে। শুধু ভারতবর্ষ নয়, সারা পৃথিবীতেই জেন-জি এখন ড্রাই ডেটিংয়ের পক্ষে সওয়াল করছে। তারা বুঝতে পারছে মাতাল হয়ে গেলে আর প্রেমালাপে মন থাকে না। মদের গ্লাসে চোখ যায়। প্রিয় মানুষের চোখে চোখ রাখা সম্ভব হয় না। মেয়েদের একাংশ জানিয়েছে আজকাল শুধুমাত্র ক্যাজুয়াল হুকআপ হয় না বরং ব্যাপারটা সিরিয়াস রিলেশনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ডেটিংয়ে মদ এলে প্রেমটা উড়ে যায়। এই ডেটিংয়ে বার নয় বরং কফি শপই হয়ে উঠতে পারে বৃন্দাবন।
আরও পড়ুন-জম্মুতে তৃণমূল কংগ্রেসের ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
ফ্লাড লাইটিং ডেটিং
ভেসে যাওয়া
তবে ডেটিং এবং প্রেমের সব ধারণা ভেঙে দিয়েছে ফ্লাড লাইটিং। জেন-জির এই ডেটিং ট্রেন্ড যে-কোনও সম্পর্কের শুরুতেই শেয়ার করা হয় ব্যক্তিগত আবেগ, গোপনীয়তা, গভীর অনুভূতি— সব। ধীরে ধীরে দুর্বলতা তৈরি হয়। ফ্লাড লাইটিংয়ে খুব তাড়াতাড়ি মানসিক ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। তবে এই ঘনিষ্ঠতা সবসময় সঠিক কারণে হয় না। সাম্প্রতিক এই ট্রেন্ড জেন-জিকে নতুন করে ভাবাচ্ছে। সো-সিংকড-এর কর্ণধার জেসিকা এবং লুয়েলা এলডারসন জেন-জির এই ট্রেন্ড সর্ম্পকে সচেতন করেছেন। তাঁরা বিশ্বাস করেন
প্রথম ডেটেই সব ব্যক্তিগত অনুভূতি অভিজ্ঞতা গোপনীয়তা শেয়ার করা উচিত নয়। যাঁরা প্রথম ডেটিং শুরু করছেন তাঁদের উপর ট্রমা, অতীতের সম্পর্ক, মনের সংঘাত— সব চাপিয়ে দেওয়া হয়। জেন-জির এই ওভার শেয়ারিংয়ের প্রবণতা আসলে ঘনিষ্ঠতার একটা শর্টকাট। এই ফ্লাড লাইটিং ডেটিং ঘনিষ্ঠতার একটা মিথ্যে অনুভূতি তৈরি করতে পারে। যা জ্বলে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে নিভে যায়।
আরও পড়ুন-বিমান টেকঅফ ও ল্যান্ডিংয়ের সময় জানলা বন্ধ রাখতে হবে যাত্রীদের
মাইকেল এঞ্জেলো ফেনোমেনন
তুমিই সেরা
ফ্লাড লাইটিংয়ে লুকানো থাকে অনেকগুলো বিপদ। দু’জনের জন্যই এই ডেটিং মানসিক চাপ তৈরি করতে পারে। যারা প্রথম ডেটেই অতিরিক্ত অনুভূতি শেয়ার করছে তারা নিমেষেই উন্মুক্ত করে দিতে পারেন নিজেদের। উজাড় করে দিতে পারেন নিজেদের। তাতে নিঃস্ব হওয়ার সম্ভবনা থাকে। যার সাথে হৃদয়ের কোনও সম্পর্ক নেই। আবার কখনও ফ্লাড লাইটিং ডেটিংয়ে জেন-জি ভারাক্রান্ত বোধ করে। সম্পর্কের এই অস্বাস্থ্যকর গতিশীলতা একটা ইমব্যালান্স তৈরি করতে পারে। যেহেতু প্রথমেই সব শেয়ার করে দেওয়া হয়, সব অনুভূতি, সব দুর্বলতা, তাই প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ভয় সব সময় তাড়া করে। তবে ফ্লাড লাইটিংয়ে সীমা টানা এবং থামতে জানাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সহানুভূতি দিয়ে সম্পর্ক তৈরি করা যায় না। মানসিক ঘনিষ্ঠতা এক দেখাতে যা একরাতে হয় না। ইটের পরে ইট সাজিয়ে যেমন বাড়ি তৈরি হয়, ঠিক তেমনই দিন দিন অনুভূতিগুলোকে সাজিয়ে একটা সম্পর্ক তৈরি হয়। তৈরি হয় সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা। এই ফ্লাড লাইটিং ডেটিংকে রুখে দেওয়ার জন্যই জেন-জিরা বেছে নিচ্ছে সিমার ডেটিং।
ফ্লাড লাইটিং ডেটিংকে চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করায় মাইকেল এঞ্জেলো ফেনোমেনন। মনোবিজ্ঞানের এই ভাবনায় একে অপরকে তাদের পরিচয়ের জন্য ভালবাসে না। বরং সক্রিয়ভাবে একে অপরের সেরা সম্ভাবনা বা উৎকর্ষতাকে বের করে নিয়ে আসে। ভালবেসে, উৎসাহিত করে, আবেগ, অনুভূতি ও প্রেম দিয়ে।
জেন-জির এই ডেটিং ভাবনায় সব হিসেব ওলটপালট করে দিয়েছে ফ্লাড লাইটিং ডেটিং। স্বাধীনচেতা, অনুভূতিপ্রবণ এই প্রজন্ম প্রেমে কিছুতেই যুক্তির ধার ধারে না। বরং তারা ঠকে শেখে, অভিমানের পারদ যখন পাহাড় ছাড়িয়ে যায়, একা একা বসে হেডফোনে শোনে— ‘যখন নীরবে দূরে’। হৃদয়ে বয়ে চলে অভিমানের চাপা ফল্গুধারা।