২০২৪-এর ভয়াল রূপের বর্ণনা এখন ভুলতে পারেনি উত্তরবঙ্গবাসী। আবার শনিবার থেকে লাগাতার মঙ্গলবার পর্যন্ত একনাগাড়ে বৃষ্টিতে (Heavy Rain) বানভাসি তিস্তা। পাহাড়ে অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে ক্রমশ শক্তিশালী রূপে পরিণত হচ্ছে রুদ্ররূপী তিস্তা। সোমবার গভীর রাতে কালিম্পং জেলার অন্তর্গত তার খোলাতে ধসে বিপর্যস্ত যান চলাচল।
পাশাপাশি সিকিম এবং বাংলার যোগাযোগকারী রবি জোড়ার রাস্তার উপর দিয়ে বইছে তিস্তার জল। প্রশাসনের তরফে লাগাতার চলছে নজরদারি চলছে মাইকিং পাহাড়ি এলাকায় তিস্তার পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলি থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সেখানকার অধিবাসীদের। উত্তরকে ফের ভয় দেখাচ্ছে তিস্তার ভয়াল রূপ। তিস্তার রুদ্ররূপ, পাহাড়ের হুমকি জল-ধসের দোলাচলে কাঁপছে উত্তর।
জল বেড়েই চলেছে। রবিঝোরা ও ২৯ মাইল অঞ্চলে জাতীয় সড়ক ১০-এর উপর দিয়ে বইছে নদীর ধারা। কালিম্পং-দার্জিলিং সংযোগকারী রাস্তা তিস্তার কাছে এসে থমকে গিয়েছে—একেবারে জলের তলায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে গতকাল রাত থেকেই যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। চালু হয়েছে বিকল্প রুট।
আরও পড়ুন- দেওঘরে পুণ্যার্থী বোঝাই বাস-ট্রাকের সংঘর্ষ, মৃত ১৮
দিনের পর দিন অবিরাম বৃষ্টিতে (Heavy Rain) আলগা হয়ে যাচ্ছে মাটি, আর ভূতত্ত্ববিদদের ভাষায়, “যে কোনও মুহূর্তে নেমে আসতে পারে ধস।” এই আশঙ্কা মাথায় রেখেই বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর শুরু করেছে গ্রামবাসীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস তেমন আশার আলো দেখাচ্ছে না। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদা, দুই দিনাজপুর ও আলিপুরদুয়ারের কিছু অংশে মঙ্গলবার ও বুধবার হতে পারে ভারী বৃষ্টি, সঙ্গে বজ্রপাত ও ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া। নদীর ধারে এবং ধসপ্রবণ এলাকায় বসবাসকারীদের ইতিমধ্যেই সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি পাহাড়মুখো পর্যটন আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশও জারি হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে উদ্ধারকারী দল—যেন কোনও বিপদ এলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া যায়।