ডিভিসি অনিয়ন্ত্রিত জল ছাড়ায় বন্যার আশঙ্কা, যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

সেচ দফতর বারবার হুঁশিয়ারি দেওয়া সত্ত্বেও অনিয়ন্ত্রিত জল ছাড়ছে ডিভিসি (DVC)। ফলে রাজ্যের জেলায় জেলায় বাড়ছে প্লাবনের আশঙ্কা।

Must read

প্রতিবেদন : সেচ দফতর বারবার হুঁশিয়ারি দেওয়া সত্ত্বেও অনিয়ন্ত্রিত জল ছাড়ছে ডিভিসি (DVC)। ফলে রাজ্যের জেলায় জেলায় বাড়ছে প্লাবনের আশঙ্কা। দামোদর উপত্যকার জলাধারগুলি থেকে লাগাতার জল ছাড়ায় উদ্বেগে রাজ্য প্রশাসন। বৃহস্পতিবার থেকে পাঞ্চেত ও মাইথন মিলিয়ে মোট ৪৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। পাঞ্চেত থেকে ২৭ হাজার ও মাইথন থেকে ১৯ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার ফলে হুগলি, বাঁকুড়া ও পূর্ব বর্ধমানের একাধিক নিচু এলাকা ইতিমধ্যেই জলমগ্ন। এই আবহে আগামী ৫ তারিখ মঙ্গলবার আরামবাগ-সহ সংলগ্ন অঞ্চলে জলমগ্ন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন-ইস্টবেঙ্গলের সূর্য উঠেছে : অরূপ

সেই সঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ঘাটাল ও তার আশপাশ এলাকায়। প্রস্তুত প্রশাসন। রাজ্যের সেচ দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ডিভিসিকে কড়া ভাষায় চিঠি পাঠিয়েছেন। সেই চিঠিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, আগাম কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই জল ছাড়ায় ভয়াবহ বিপর্যয় হতে পারে। আগামী ৩-৪ দিনে ঝাড়খণ্ড ও বিহারে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এমন অবস্থায় আরও জল ছাড়া হলে হুগলি, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমানের বিস্তীর্ণ চাষের জমি, জনবসতি ও পরিকাঠামোর উপর গভীর প্রভাব পড়তে পারে। জল ছাড়ার আগে অন্তত রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করুক ডিভিসি। ডিভিসি সেই অনুরোধ মানছে না। নিচু অঞ্চলে জলস্তর বাড়ছে। হুগলির আরামবাগ মহকুমা বিশেষভাবে বিপর্যস্ত। বিপর্যস্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালও। রাজ্যের প্রশ্ন, একের পর এক সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে জল ছাড়ছে ডিভিসি। এবার রাজ্যে যদি বড়সড় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে তার দায় কে নেবে?

Latest article