আজ থেকে প্রায় ২৫ কি ৩০ লক্ষ বছর আগে মানুষের প্রথম প্রজাতি হোমো হ্যাবিলিসরা পায়ে হেঁটে চষে বেড়াত এলাকা। দল বেঁধে চলে যেত বহু দুরে। গহীন জঙ্গলমহলে। মাঝেমধ্যে জায়গাও বদল করত। কেন যেত তারা নিজেদের আস্তানা ছেড়ে বন্যপশু ভরা জঙ্গলে? এর একটাই উত্তর— অচেনাকে চেনা, অজানাকে জানার দুঃসাহসিক আগ্রহে। আসলে মানুষের জিনে রয়েছে ভ্রমণ। এরপর এসেছে আরও অনেক প্রজাতি। মানুষ এসেছে বহু পরে এবং প্রত্যেকেই এই পৃথিবীর বুকে দাপিয়ে বেড়িয়েছে। গত শতকেও বাঙালির বেড়ানো বলতে ছিল ‘পশ্চিমে যাওয়া’— গিরিডি মধুপুর শিমুলতলা ইত্যাদি জায়গায়, স্বাস্থ্য উদ্ধার ও বিশ্রামের জন্য। তারপর হল দীপুদা— দিঘা, পুরী, দার্জিলিং। আজ হেন কোনও জায়গা নেই যেখানে বাঙালি তথা ভারতীয়দের পা পড়েনি। আর আলাদা করে বললে বেড়ানো যেন বাঙালির আবেগ। কাজেই ভ্রমণপিপাসুদের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। বদলেছে ট্রাভেল ট্রেন্ড। শুধু উৎসবে, শীতে বা গরমের ছুটিছাটায় নয়, সারা বছর ধরেই এখন বাঙালির পায়ের তলায় সরষে।
আরও পড়ুন-সাংসদ তহবিলে তৈরি প্রকল্পের সূচনায় কল্যাণ
উঠল বাই তো বিদেশ যাই
পুরনো চাল ভাতে বাড়ার মতোই বেড়িয়ে পড়ি-বেড়িয়ে পড়ি হাবভাব দিনে দিনে বাঙালি তথা ভারতীয়দেরই বাড়ছে। দেশের যে কোনও কোণেই হোক বা বিদেশ ভ্রমণ তাঁরা এখন বেড়ানোর জন্য খরচ করতেও পিছপা নন। সারাবছর খাক বা না-খাক বেড়ানোর বাজেটটি তারা বেশ মেনটেন করে চলেন। কারণ বেড়ানোর সঙ্গে পকেটে বন্ধুত্ব একেবারেই নেই বললেই চলে। দিনে দিনে বাড়ছে খরচ। তাই আমজনতা আগেভাগেই বেড়ানোর টাকা সরিয়ে রাখছেন যাতে কম্প্রোমাইজ করতে না হয়। আর, ইদানীং একটু অন্যরকম বেড়ানোর প্রতি ঝুঁকছেন ভ্রমণপিপাসুরা। কেন নির্দ্বিধায় তাঁরা খরচ করে ফেলছেন টাকা? আসলে করোনা-পরবর্তীতে আবার সামলে উঠেছে মধ্যবিত্ত, বেড়েছে আয়, এসছে লাইফস্টাইলের পরিবর্তন। ইদানীং বিভিন্ন ট্যুরিজম সংস্থা ভ্রমণকে করেছে সহজলভ্য। তারা চালু করেছে বাজেট ফ্রেন্ডলি ট্রিপ। যা বেড়ানোর আগ্রহকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ফলে বাজেট বাড়ছে। এখন বিভিন্ন প্যাকেজ ট্রিপের সৌজন্যে সূদুর হয়ে যাচ্ছে নিকট। দেশীয় পর্যটন বরাবর পছন্দের তালিকার শীর্ষে ছিল আমজনতার। দেশের বিভিন্ন রাজ্য এবং শহরে অবস্থিত পর্যটন স্থানগুলি ভারতীয়দের প্রিয় স্পট হয়ে উঠেছে। কিন্তু এখন বিদেশও বাঙালির তথা ভারতীয়দের ফেভারিট ডেস্টিনেশন। বিদেশের পর্যটনও ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মতো দেশে ভারতীয় পর্যটকের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।
আরও পড়ুন-দেশে গ্রামীণ অর্থনীতিকে পথ দেখাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী
চলো মন
ইতিউতি বেড়িয়ে পড়ার তীব্র ইচ্ছেয় আসমুদ্র হিমাচল তো বটেই, গোটা পৃথিবী চষে ফেলেও ক্ষান্ত হচ্ছেন না ভ্রমণপিপাসু। আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়ানোর আগ্রহ যেমন বাড়ছে তেমনই বাড়ছে অন্যরকম ডেস্টিনেশনে যাবার পিপাসাও। আমজনতা এখন বছরের ছ’বার বেড়াতে যানই। ছোট ট্রিপ আর বড় ট্রিপ, ফ্যামিলি ট্রিপ আর সোলো ট্রিপ সাপটে-সুপটে বেড়ানোকে উপভোগ করেন আরও বেশি করে। তা ছাড়া অনলাইন বুকিং যেমন সিনেমা দেখাকে সহজ করেছে তেমনই ভ্রমণকেও। বেড়ানোর মাধ্যমের বিকল্পের অন্ত নেই। বিমান, ট্রেন এবং বাস তো আছেই এখন চারচাকায়, দু’চাকায় বেরিয়ে পড়ছেন অনেকেই। বেড়ানো হয়ে উঠেছে অ্যাডভেঞ্চারাস। এ ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ার একটা বড় ভূমিকা রয়েছে এই আগ্রহ তুঙ্গে ওঠার পিছনে। সোশ্যাল মিডিয়ার অনেক কুপ্রভাবের মাঝে এটা এক সুপ্রভাব বলা যায়। অন্যের বেড়ানোর ছবি, রিলস, ভিডিও দেখেও বহু মানুষ ভ্রমণের অনুপ্রেরণা পান। দিনভর মাসভর স্ট্রেসফুল জীবনের একঘেয়ে রোজনামচার মাঝে চাপ কমানোর একটি ভাল উপায় বেড়ানো। নতুনকে জানা, নতুনকে চেনা, নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ, ভাবনার আদানপ্রদানে মনের বোঝা অনেকটাই হাল্কা হয়ে যায়। আত্মবিশ্বাস বাড়ায় ভ্রমণ।
একলা চলো রে
দিন সাতেকের জন্য বেড়াতে যেতে চাইছিলেন রঞ্জন। দূরে কোথাও। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে অনেককেই বলেছেন। কেউই সময় পাচ্ছেন না সঙ্গে যাওয়ার। নানা কারণ। মহা মুশকিল। কী করা যায়। ভেবে ভেবে শেষ পর্যন্ত একা একাই বেরিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন রঞ্জন। খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারলেন, তিনি একা নন, তাঁর মতো বহু মানুষ এখন একা একা বেড়াতে যান। সারা পৃথিবীর নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ভ্রমণপিপাসুদের মধ্যে দিনে দিনে বাড়ছে একা একা ঘুরতে যাওয়া বা ‘সোলো ট্রিপ’-এর প্রবণতা। বহু মানুষের মতে— এই একক ভ্রমণ হল স্বাধীনতার উদযাপন। কোনও ঝামেলা-ঝঞ্ঝাট নেই। নিজের ইচ্ছেমতো ঘোরা যায়। আপনমনে। একক ভ্রমণ মানে নিজের অন্তরের চেতনার সঙ্গে একাত্মতার যাত্রা। তবে একক ভ্রমণে গেলেও সুরক্ষা, খরচ ও যাতায়াতের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই গন্তব্য ঠিক করা জরুরি।
আরও পড়ুন-মুকুটমণিপুরে বাস উল্টে গুরুতর আহত ১৫ যাত্রী
মনের দাওয়াই
মনে রাখতে হবে— ভ্রমণ কিন্তু শুধুই বিলাসিতা নয়, মেন্টাল থেরাপিও। একঘেয়েমি কাটাতে, শান্তিতে নিজের মতো বাঁচার রসদ জোগাতে, মনকে সমৃদ্ধ করে তুলতে, অবসাদকে কাটিয়ে নয়া অ্যাডভেঞ্চারের দিকে পা দেওয়ার জন্য মাঝেমধ্যেই তাই যেদিকে মন চায় সেদিকেই বেড়িয়ে পড়া দারুণ ভাল কাজ। তাতে মন ও শরীর দুই থাকে সুস্থ ও সতেজ। তবে শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই হাওয়াবদল নয়, দেশ বিদেশের সেই অভিজ্ঞতার মণিমাণিক্য সারাজীবনের জন্য মনের কোণে উজ্জ্বল হয়ে থাকে। বিশ্ব প্রকৃতিকে নিজের চোখে দেখার যে অনুভূতি ও রোমাঞ্চ তা হল সারাজীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার। বহু মানুষ বেড়াতে বেরিয়ে নতুন বন্ধু গড়তে, নতুন নতুন মানুষজনের সঙ্গে দেখা করতে পছন্দ করেন। শান্তিতে নিজের মতো করে ভালবেসে ঘুরে বেড়ানোকেই বেশি প্রাধান্য দেন। নিজেদেরকে চিনতে ও পছন্দের জায়গাগুলিকে নিজের মতো করে চিনতে আরও সাহায্য করে।
রোমাঞ্চকর ট্রিপ
পাহাড়, সমুদ্র অনেক হয়েছে। এখন ভ্রমণপিপাসুদের পছন্দ রোমাঞ্চকর অভিযান। গভীর জঙ্গল অথবা বরফে ঢাকা কোনও দেশ। সমুদ্রতল বা দুর্গম রেলপথ। এগুলোই এখন নতুন ট্রেন্ড।
শহরে বেড়ানো
শীতের মরশুমে শহরে দেখা মেলে বহু বিদেশি পর্যটকের। একা বা দলবেঁধে ঘুরে দেখেন শহরের অলিগলি। সেইসঙ্গে দর্শনীয় স্থান। এই ট্রেন্ড এখন সারা পৃথিবীর। নতুন প্রজন্মের ভ্রমণপিপাসুদের দীর্ঘমেয়াদি বিশ্রামের পরিবর্তে স্থানীয় সংস্কৃতিতে নিজেদের নিমজ্জিত করার দিকে মনোনিবেশ করে একাধিক শহরে ছোট ভ্রমণ পছন্দ করে। এই প্রবণতা একটি একক ভ্রমণের মধ্যে বিভিন্ন অভিজ্ঞতার আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করে।
আরও পড়ুন-স্ত্রীর শরীর ও গোপনীয়তার অধিকারে হস্তক্ষেপ নয়
নাচ-গানের টানে
এখন বিভিন্ন ছোট-বড় শহরে নানারকম অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। স্থানীয় শিল্পীদের পাশাপাশি পারফর্ম করেন নামী শিল্পীরা। ওইসব কনসার্ট, নৃত্য-সঙ্গীত উৎসব-সহ লাইভ পারফরম্যান্সগুলোর প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়েছে দেশ-বিদেশের ভ্রমণপিপাসুদের। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এতে অংশ নেন মূলত লোকশিল্পীরাই।
সবুজ মাঠে
ছোটবেলায় মাঠেঘাটে ঘুরে বেড়াতেন অনেকেই। বয়সকালেও সেই অভ্যাস লেগে থাকে ছায়ার মতো। বেড়ানোর গন্তব্য হিসেবে এখন অনেকেই বেছে নিচ্ছেন খেলার মাঠ। ক্রিকেট হোক ফুটবল, জমকালো ক্রীড়া ইভেন্টে যোগদানের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। নতুন প্রজন্মের ভ্রমণকারীরা বিখ্যাত ক্রীড়া স্টেডিয়াম পরিদর্শন এবং প্রিয় দলের ম্যাচ দেখার প্রতি আগের তুলনায় বেশি মনোনিবেশ করছে। এটা এমন একটি অভিজ্ঞতা তৈরি করে যা ক্রীড়া অনুরাগীদের মধ্যে ঐক্যের অনুভূতি জাগিয়ে তোলে।
সপ্তাহান্তে বেড়ানো
নতুন প্রজন্মের ভ্রমণকারীরা তাঁদের সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় বেরিয়ে পড়েন। কাছেপিঠে এক বা দু-দিনের জন্য ঘুরে আসেন। এর ফলে মাইন্ড ফ্রেশ হয়। সপ্তাহের শুরুতে খোলামনে কাজে যোগ দেন। এইরকম ছোট-ছোট ট্রিপে খরচ অনেক কম হয়। কিন্তু সপ্তাহে-সপ্তাহে ঘুরে দেখা যায় নতুন-নতুন জায়গা। এমন কিছু জায়গা, যেগুলোর খোঁজ খুব বেশি মানুষের কাছে নেই। ফলে তুলনায় নির্জন নিরিবিলি। এর ফলে খুব সহজেই নিজেকে চেনা যায়। ভালভাবে জানা যায় নিজের পছন্দ।
পেটুক পর্যটক
ঘুরে বেড়াব অথচ খাওয়াদাওয়া হবে না, তা কি হয়? পেটপুজো ভ্রমণের অপরিহার্য অঙ্গ। তবে নতুন প্রজন্মের বহু ভ্রমণকারী সেইসব জায়গায় বেশি বেড়াতে পছন্দ করেন, যেখানে মেলে সুস্বাদু খাবার। বিখ্যাত রেস্তোরাঁর ট্যুর থেকে শুরু করে স্ট্রিট ফুড পর্যন্ত বিভিন্ন রন্ধনসম্পর্কিত অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য ভোজনবিলাসীরা এখন তাঁদের ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। অনেক তরুণ ভ্রমণকারী সংস্কৃতির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং তাঁদের ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করার জন্য খাঁটি স্থানীয় খাবার খোঁজেন। চেখে দেখেন।
আরও পড়ুন-কলেজ পড়ুয়া পঞ্চায়েত প্রধান সোনম. জনজাতির গ্রামের স্বপ্ন দেখা শুরু
উপজাতিদের সান্নিধ্য
উপজাতিরা ছড়িয়ে রয়েছেন নানা দেশে। অন্য মানুষজনের সঙ্গে তাঁদের জীবনযাপন অনেকটাই আলাদা। এঁদের জীবনযাপনের প্রতি তীব্র আকর্ষণ রয়েছে নতুন প্রজন্মের বহু ভ্রমণকারীর। সময়-সুযোগ পেলেই তাঁরা ছুটে যান। শুধুমাত্র উপজাতিদের জীবনযাত্রা নয়, তাঁদের সংস্কৃতিও জেনে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এর ফলে এক ধরনের বন্ধুতা রচিত হয় উভয়ের মধ্যে। এই ভ্রমণের মধ্যে বেড়ানো যেমন আছে, তেমনই আছে মাটির মানুষের সান্নিধ্য।
মাথায় রাখতে হবে
একা বা দলবেঁধে ভ্রমণে বেরোনোর সময় কিছু জিনিস মাথায় রাখা দরকার। এই ধরনের ভ্রমণে যাঁরা বিশ্বাসী, তাঁদের জানতে হবে কীভাবে বিপদ এড়িয়ে চলতে হয়, নিজেদেরকে যত্ন কীভাবে নিতে হয়, নিরাপদে থাকার মূল মন্ত্র কী? দলবেঁধে ঘুরলে চাপ কম। লাগেজ ব্যাগ বেশি হলে খুব একটা অসুবিধা নেই। তবে যখন একা ঘুরবেন, তখন ব্যাকপ্যাক হওয়া চাই হালকা। বাইরের কোনও সাহায্য ছাড়াই ঘুরতে হবে। তাই লাগেজ একাই বহন করার সাহস রাখতে হবে। সোলো ট্রাভেলে নতুন নতুন প্ল্যান তৈরি করার উত্তেজনা অনুযায়ী ব্যাকপ্যাক গুছিয়ে নিতে হবে। ওভারপ্যাকিং করার চিন্তাভাবনা একেবারেই করবেন না।
একা ভ্রমণ মানেই লাগামছাড়া ভ্রমণ। অনেক জায়গা একসঙ্গে ঘুরে বেড়ানো যায়। সোলো ট্রাভেলের অর্থই হল আত্মার অনুসন্ধান করা। নিজের মতো করে বিরতি নেওয়া, ধীরগতিতে জায়গায়-জায়গায় ঘুরে বেড়ানো। তাই মাথায় রাখবেন, জীবনে অনেক কিছু মিস করা যায়, কিন্তু সময়ের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানো বুদ্ধিমানের কাজ।
ভ্রমণের পরিকল্পনা করার সময় প্ল্যান ‘এ’ যেমন মাথায় রাখবেন, তেমনি প্ল্যান ‘বি’-এর বন্দোবস্তও করে রাখতে হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী অনেক সময়ই কাজ হয় না, তাই ঝামেলা এড়াতে প্ল্যান ‘বি’ সবসময় মাথায় রাখা উচিত। কোয়ালিটি টাইম যদি কাটাতে চান তা হলে খাতায় নোট করে রাখুন প্ল্যান ‘বি’।
একা-একা ভ্রমণে খরচকে কখনও কম বলে মনে করবেন না। একা ভ্রমণ করছেন বলে তাতে খরচ কম হবে, তা একেবারেই নয়, একা যখন ভ্রমণ যখন করবেন তখন আর্থিক ব্যাকআপ সবসময় রেখে দিন। সোলো ট্রাভেলের সময় বেশি মানুষের সঙ্গে জড়িয়ে যাবেন না। অন্যের সঙ্গে বেশি কথা বলার প্রয়োজন নেই। কথা বাড়ালেই কথা বাড়ে। তাই নিজের মতো করে ঘুরে নিজের গন্তব্যে পৌঁছে যান। যাঁরা এগুলো মেনে চলেন তাঁদের ভ্রমণ হয় সুন্দর।