প্রতিবেদন : কেন্দ্রের নীতিতে গোল্লায় যাচ্ছিল শিক্ষা। পাশ-ফেল তুলে দিয়ে শিক্ষাকে উচ্ছন্নে পাঠিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্রের মোদি সরকার। শেষে ডিগবাজি খেয়ে ফের বাধ্য হল পাশ-ফেল প্রথা চালু করতে। কেন্দ্র অবশেষে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ফেল না করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিল। এ-প্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এটি আমাদের কাছে নতুন কিছু নয়। আমরা অনেক আগে থেকেই এই প্রথা মেনে চলি। আবার প্রমাণিত হল এগিয়ে বাংলা। এক্ষেত্রেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুসরণ করছে কেন্দ্র।
পরীক্ষায় পাশ-ফেল ফেরানোর সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় শিক্ষাসচিব ব্যাখ্যা দেন, পড়াশোনার মানোন্নয়নের জন্য পাশ-ফেল প্রথা ফেরানো হচ্ছে। কেন্দ্রের বিলম্বিত বোধোদয়ের পর ব্রাত্য বসু এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্কুল শিক্ষা দফতরের অধীনে ইতিমধ্যেই পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে ছাত্রদের মূল্যায়ন হয়ে থাকে। তাই এটি আমাদের কাছে নতুন কিছু নয়। আমাদের মূল্যায়ন প্রক্রিয়া অনেক বেশি যুক্তিযুক্ত। তিনি সকলের জানার জন্য ২০১৯-এর সেই বিজ্ঞপ্তির এদিন পোস্ট করেন তাঁর এক্স বার্তার সঙ্গে। সেইসঙ্গে তাঁর বার্তা, কেন্দ্র আজ যা করছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা করে দিয়েছেন আগেই। এজন্যই এগিয়ে বাংলা।
আরও পড়ুন-২৬ জানুয়ারির কুচকাওয়াজে থাকছে এবার বাংলার ট্যাবলো
উল্লেখ্য, কেন্দ্র ফের পুরনো নীতিতে ফিরে গিয়ে জানিয়েছে, এবার থেকে পঞ্চম আর অষ্টম শ্রেণিতে হবে পরীক্ষা। পরীক্ষায় পাশ করতে হবে, তবেই উত্তীর্ণ হতে পারবে পরবর্তী ক্লাসে। অনুত্তীর্ণ হলে আরও একবার মিলবে সুযোগ। ফলপ্রকাশের দু’মাস পর আবার পরীক্ষায় বসতে হবে। বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে সমস্ত শ্রেণিতেই।