মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee) নির্দেশের পরেই কলকাতার বিভিন্ন বাজারে লাগাতার পরিদর্শন চালাচ্ছে রাজ্য সরকার গঠিত টাস্কফোর্স। বাজারে মাছ ও সবজি-সহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দামের উপরে নজরদারিতে রাজ্য সরকারের গঠিত টাস্ক ফোর্স ও এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা মঙ্গলবার কলকাতার মানিকতলা ও বাগমারি বাজারে যৌথ অভিযান চালায়। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে জিনিসপত্রের দাম এবং ওজন নিয়ে তারা কথা বলেন। পর্যবেক্ষণ করা হয় শাকসবজি, মাছ, ডিম, মসলা ও ফলের দাম।
টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা জানান, বাজার পরিদর্শনের সময় বিক্রেতারা একটি নির্দিষ্ট দাম বললেও পরিদর্শনের পরপরই অনেক ক্ষেত্রে সেই দাম বেড়ে যাচ্ছে। এই প্রবণতা রুখতেই প্রশাসন কঠোর নজরদারি চালাচ্ছে। টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্র নাথ কোলে জানান, যুদ্ধ পরিস্থিতির ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে দামের উর্ধ্বগতি হয়েছে ঠিকই, তবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যের অভ্যন্তরে বাজারে মূল্যবৃদ্ধি যাতে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে না চলে যায়, সে বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে বিভিন্ন বাজারে ধারাবাহিকভাবে অভিযান চালানো হচ্ছে। আর এক সদস্য কমল দে জানান, “এই অভিযান কোনও বিক্রেতার উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য নয়, বরং বাজারে যাতে স্বাভাবিক ও যুক্তিসঙ্গত দাম বজায় থাকে, তার জন্যই এই তৎপরতা।” তিনি আরও বলেন, “নিয়মিত বাজার পরিদর্শনের ফলে পণ্যের দাম অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হচ্ছে।”
আরও পড়ুন- কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও উত্তরে উন্নয়নের জোয়ার: মুখ্যমন্ত্রী
মানিকতলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সম্পাদকও জানান, ই বি এবং ব্যবসায়ী সমিতির যৌথ উদ্যোগে বাজারে মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত তদারকি চালানো হয়। ফলে মানিকতলা বাজারে তুলনামূলকভাবে অন্যান্য বাজারের তুলনায় দাম অনেকটাই স্থিতিশীল থাকে। এদিন মানিকতলা বাজারে অভিযান শেষ করার পর টাস্ক ফোর্সের দল বাগমারী বাজারেও পরিদর্শনে যায়। সেখানেও একইভাবে সমস্ত পণ্যের দাম ও বাজার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতেও এই ধরনের অভিযান জারি থাকবে, যাতে সাধারণ মানুষ বাজারে স্বস্তিতে কেনাকাটা করতে পারেন এবং কোনওভাবেই মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা অযৌক্তিক দামের সুযোগ না নিতে পারেন।