হাজারো চমক নিয়ে বহরমপুরে শুরু হল ফুড ফেস্টিভ্যাল

এবারের ফুড ফেস্টিভ্যালে প্রায় ১০০টি স্টল রয়েছে। বিরিয়ানি থেকে কাবাব, ভেজ থেকে নন-ভেজ, স্ন্যাক্স আইটেম থেকে বেকারি, চা, কফি মিলছে সব কিছু।

Must read

কমল মজুমদার,  জঙ্গিপুর: ডিসেম্বর মাস মানেই বড়দিন আর বর্ষশেষের উদযাপন। আর এই ফেস্টিভ সিজন খাওয়াদাওয়া ছাড়া একেবারেই অসম্পূর্ণ। বড়দিনের আগে শীতের সন্ধ্যায় রকমারি খাবারের গন্ধে ম ম করছে বহরমপুরের ওয়াইএমএ ময়দান। এই মাঠেই শুরু হয়েছে জেলার সর্ববৃহৎ ফুড ফেস্টিভ্যাল ‘এসো খাই চেটেপুটে’। এই খাদ্য উৎসব এবার পড়েছে সপ্তম বর্ষে। দশ দিনের মেলায় রয়েছে ভিন্ন স্বাদের, ভিন্ন ধরনের প্রচুর খাবার। প্রচুর স্টলে সেজেছে ফুড ফেস্টিভ্যালের মাঠ। নতুন নতুন ঘরানার খাবার বহরমপুরে বসেই চেখে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন শহর তথা জেলাবাসী।

আরও পড়ুন-এক দেশ এক ভোট ও আম্বেদকর ইস্যু: শরিকি চাপে বিজেপি

এবারের ফুড ফেস্টিভ্যালে প্রায় ১০০টি স্টল রয়েছে। বিরিয়ানি থেকে কাবাব, ভেজ থেকে নন-ভেজ, স্ন্যাক্স আইটেম থেকে বেকারি, চা, কফি মিলছে সব কিছু। শুধু মুর্শিদাবাদ নয়, মেলায় ভিনরাজ্য, ভিনজেলার নিত্যনতুন খাবার টেস্ট করার সুযোগ পাচ্ছেন ভোজন রসিকরা। মুর্শিদাবাদ ফুড ফেস্টিভ্যালের আয়োজক সঞ্চালি মণ্ডল বলেন, ‘প্রথম বছরের তুলানায় মেলা এখন বড় রূপ ধারণ করেছে। মুর্শিদাবাদ ছাড়াও বিভিন্ন জেলা অংশ নিয়েছে ফেস্টিভ্যালে। সোমবার সন্ধ্যায় ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনে এলাহি আয়োজন ছিল। আট থেকে আশির ভোজন রসিকদের আনাগোনায় ভরে ছিল মাঠ। জেলার বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের স্টলও রয়েছে এবারের ফুড ফেস্টিভ্যালে। জেলা গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রকল্প আধিকারিক সুকান্ত সাহা বলেন, ‘এই ফুড ফেস্টিভ্যাল যে বছর প্রথম শুরু হয়েছিল অর্থাৎ কোভিডের পূর্ববর্তী সময়ে তখন জেলা আধিকারিক হিসেবে এসেছিলাম। আবার সাত বছর পরে প্রকল্প অধিকর্তার কাজে যোগদানের পর এই ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদান করতে পেরে আমি আনন্দিত। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা বিভিন্ন ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়েছেন। বেশ কিছু গোষ্ঠীর স্টলও রয়েছে।

Latest article