রাস্তায় বেরিয়ে সিঙারা (Samosa) খাওয়ার জেদ ধরেই বিপত্তি। বায়না থামাতে রাস্তার ধারের দোকান থেকে একটা সিঙারা কিনে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই সিঙারা খেয়ে নিমেষেই হাসপাতালে নিয়ে ছুটতে হল তাঁকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শিশিশুটির অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। জানা গিয়েছে, সিঙারার পুরের ভিতরে ছিল গোটা একটি টিকটিকি। শিশুটি খাওয়ার সময় বুঝতে পারেনি। যতক্ষণে তার পরিবারের লোকজন দেখতে পায়, তখন শুধু সিঙারার আলুর মধ্যে টিকটিকির মাথাটুকু বাকি আছে। বাকিটা শিশুটি খেয়ে ফেলেছে। কিছুক্ষনের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুটি। শুরু হয় বমি, পেট ব্যথা। অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন-গ্রেগকে ছাড়াই আজ পরীক্ষা দিমিত্রিদের
মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাতে টিকটিকি ভরা সিঙারা খেয়ে এক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খাদ্য অধিদপ্তর ওই দোকানে গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে দেখে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার বানানো হয়। এরপরই খাদ্য দফতরের টিম ওই হোটেল অপারেটরের লাইসেন্স বাতিল করে। রেওয়ার সিভিল লাইন থানা এলাকার পাদরায় রাস্তার ধারে রমরমিয়ে চলে এই সুরেশ হোটেল। সারাদিন মানুষের ভিড় লেগেই থাকত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই দোকান থেকে সিঙারা কিনে শিশুটিকে দেওয়া হয়। হঠাৎ পরিবারের সদস্যরা লক্ষ্য করেন যে সিঙারার মধ্যে একটি টিকটিকির মাথা। বাকি সিঙারাটি ততক্ষণে যেহেতু শিশুটি খেয়ে ফেলেছে তাঁকে দ্রুত সঞ্জয় গান্ধী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন-যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও এক অধ্যাপকের রহস্য.মৃত্যু
পরিবারের তরফে দাবি হোটেল মালিককে সিঙারায় টিকটিকি পাওয়ার কথা জানালে তিনি সেই অভিযোগ উপেক্ষা করেই খাবার বিক্রি করতে থাকেন। পুলিশেও দোকানির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।