তুহিনশুভ্র আগুয়ান, দিঘা: নতুন বাংলা বছরের শুরুতেই আরও স্বাচ্ছন্দ্যে ও তুলনামূলক কম খরচে দিঘা বা পুরীর পর্যটকদের জন্য বিলাসবহুল ভলভো বাস পরিষেবা চালু করতে চলেছে রাজ্য পরিবহণ সংস্থা। দিঘা-সহ ৬টি বিভিন্ন রুটের জন্য ৯ কোটি টাকায় ৬টি অত্যাধুনিক মানের ভলভো বাসও কিনেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। ইতিমধ্যে বাসগুলির পারমিট করা হয়ে গিয়েছে। আর কয়েকদিনের মধ্যেই চালু হয়ে যাবে বিলাসবহুল এই ছয়টি বাসের পরিষেবা।
আরও পড়ুন-তেলেঙ্গানা পুলিশের জবাব চাইল লালবাজার
পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, বাসগুলি কলকাতা-দিঘা, কলকাতা-পুরী, কলকাতা-শিলিগুড়ি এই সব রুটে চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত রুট নির্ধারণ সম্পূর্ণ হয়নি। সবকটি বাসই ধর্মতলা ও করুণাময়ী হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় রুটে চলবে। বেসরকারি বেশ কিছু সংস্থা বিভিন্ন রুটে ভলভো বাস চালিয়ে ব্যাপক পরিমাণ লাভের মুখ দেখছে। বিশেষত ছুটির মরশুমে পর্যটকেরা বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে যাওয়ার ট্রেনের টিকিট না পেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বেসরকারি সংস্থার সাধারণ ও ভলভো বাসে যেতে বাধ্য হন। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বেসরকারি বাসগুলির মতো এই প্রথম ৯৬০০ সিসির সম্পূর্ণ শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা-সহ বিলাসবহুল ৬টি ভলভো বাস চালুর সিদ্ধান্ত নেন। সেইমতো বাসগুলি পরিবহণ দফতরের হাতে এসে গিয়েছে। পরিবহণমন্ত্রীর দাবি, বেসরকারি বাসগুলির থেকে অনেক কম ভাড়ায় সরকারি এই সব বাসে গন্তব্যে যেতে পারবেন যাত্রীরা। বিলাসবহুল এই বাসগুলিতে চালক ও কন্ডাক্টর ছাড়াও ৪৩টি আসন থাকবে যাত্রীদের জন্য। যেখানে পুশব্যাক সিটের পাশাপাশি থাকছে রিডিং লাইট। অনলাইন বা অফলাইন দু’ভাবেই কাটা যাবে টিকিট। এই সরকারি বাসের ভাড়া বেসরকারি বাসের থেকে অন্তত ৩০-৪০ শতাংশ কম হবে বলে জানা গিয়েছে। ফলে ছুটির সময় দার্জিলিং বা দিঘা-পুরী যাওয়া আরও সহজ হবে পর্যটকদের কাছে। ক’দিন পরেই দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন করবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তাই নতুন এই ভলভো বাসের অন্তত একটি দিঘা রুটে চালানোর ভাবনা রয়েছে পরিবহণ দফতরের। এছাড়াও পুরী, শিলিগুড়ি, তারাপীঠ রুটেও চলতে পারে এগুলি। পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানান, ‘এই ৬টি বাসের পারমিট এবং যাবতীয় প্রস্তুতি হয়ে গিয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এগুলি চালু করা হবে। বেসরকারি বাসের থেকে অনেক কম ভাড়ায় এবার সরকারি বিলাসবহুল ভলভো বাসে পর্যটকরা যাতায়াত করতে পারবেন। ফলে তাঁদের বাড়তি সুবিধা হবে।’