প্রতিবেদন : স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়তে বড়সর পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। পুরসভার প্রশাসনিক ক্ষমতা বাড়াতে এক্সিকিউটিভ আধিকারিকের ক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এই উদ্দ্যেশ্যে সংশ্লিষ্ট পুর আইনের একটি সংশোধনী বিধানসভার চলতি অধিবেশনেই পেশ করা হবে।
আরও পড়ুন-নতুন চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য
প্রশাসনিক সূত্রে খবর নতুন বিলে পুর প্রশাসকদের হাতে আর্থিক ক্ষমতা সহ এক গুচ্ছ নতুন ক্ষমতা যুক্ত করার প্রস্তাব রয়েছে। যাতে করোর ওপর নির্ভর না করেই দক্ষ হাতে পুর প্রশাসন পরিচালনা করতে পারেন সংশ্লিষ্ট আমলারা। নানা কারণে অনেক সময় বিভিন্ন পুরসভার ভোট আটকে থাকে।তখন প্রশাসক বসিয়ে পুরসভা পরিচালনা ছাড়া পথ থাকেনা সরকারের।হাওড়া পুর নিগমের ভোট এখনো বকেয়া।প্রশাসনের একাংশের মতে, পূর্ণাঙ্গ বোর্ডহীন পুরসভা পরিচালনায় স্বচ্ছতা রক্ষার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি, এই মুহূর্তে সরকারের প্রায় সব দফতরের তহবিলেই আর্থিক টানাটানি রয়েছে। প্রশাসকেরা যে হেতু রাজনীতির লোক, তাই তাঁদের রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার নানা চাপ থাকতে পারে। খরচের বিষয়টি অফিসারদের হাতে থাকলে জরুরি কাজের বাইরে খরচ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হতে পারে।
আরও পড়ুন-হাউস হাজব্যান্ড, সোনার পাথরবাটি?
বিলটি আইনে পরিণত হলে, স্থানীয় প্রশাসনে খরচ, নিয়োগ ও প্রকল্প রূপায়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মেয়র বা চেয়ারম্যানের পাশাপাশি দায়িত্ব থাকবে এক্সিকিইটিভ অফিসারদের ওপরও। স্থানীয় প্রশাসনে রাজ্য সরকার সরাসরি এক্সিকিউটিভ অফিসার নিয়োগ করে। রাজ্যের দাবি, এই আধিকারিকদের ক্ষমতা বাড়ালে, একদিকে যেমন প্রশাসনিক সচ্ছতা বাড়বে, অন্যদিকে উন্নয়নেও গতি আসবে। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, মেয়র বা চেয়ারম্যানের ডানা ছাটতেই এই বিল আনছে রাজ্য সরকার।