উৎসবের মাঝেও কাঠগড়ায় যোগী প্রশাসন। উত্তরপ্রদেশের এক বিয়েবাড়িতে বিনা আমন্ত্রণেই হঠাৎ উপস্থিত বাঘ। স্বাভাবিকভাবেই বাঘের ভয়ে কয়েক ঘণ্টা গাড়িতে আটকে ছিল হবু বর-বউ। লখনউয়ে (Lucknow) একটি বিয়েবাড়িতে চলছে জমিয়ে গান-বাজনা, খাওয়া-দাওয়া, নাচ। আর ঠিক এই সময়ই হঠাৎ ঘটে গেল বিপত্তি। বাড়ির এক প্রান্ত থেকে চিৎকার শুরু হয়। দেখা গেল একটি চিতাবাঘ ঢুকে পড়েছে বিয়েবাড়িতে। শুধু ঢুকে পড়েছে নয়, নিজের মতো লন থেকে শুরু করে এক তলায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু তাকে দেখে অতিথিরা ভয়ে যে যেদিকে পেরেছে ছুটে পালিয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে একজন একতলা থেকে লাফ দিয়েছেন নীচে। এর ফলে তিনি গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন-অভিষেকের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে তথ্য বিকৃতি, মেটাকে নোটিশ সাংসদের আইনজীবীর
অক্ষয় শ্রীবাস্তব এবং জ্যোতি কুমারীর বিয়ের অনুষ্ঠানে চিতাবাঘের ভয়ে তাদের গাড়ি থেকে নামা দুষ্কর হয়ে উঠেছিল। বেশ কয়েক ঘণ্টা তারা গাড়িতেই বসে ছিলেন। এরপরেই পুলিশ এবং বন দফতরকে খবর দেওয়া হয়। তাঁরা এসে বাঘটিকে প্রায় ৫ ঘণ্টার চেষ্টায় ধরতে সক্ষম হন। পরিস্থিতি বুঝে একতলার একটি ঘরে লুকিয়েছিল চিতাবাঘটি। তবে এদিন বাঘ উদ্ধারে এসে বন দফতরের এক কর্মীও গুরুতর জখম হয়েছেন। চিতাবাঘটিকে ধরতে গেলে সে তাঁর ওপর হামলা করে। জানা গিয়েছে ওই কর্মীর মুখে ও হাতে লেগেছে। দুজন ক্যামেরাম্যানও জখম হয়েছেন। অন্যদিকে বাঘের অত্যাচারে বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠান ভোরবেলা রীতি মেনে সম্পন্ন করা হয়েছে। এই ঘটনা যোগী প্রশাসনের ওপর তুলছে বড় প্রশ্ন। বাঘ ঠিক কীভাবে এবং কোন জায়গা থেকে এরকম জনবসতি এলাকায় চলে আসে? সঠিক পরিকাঠামো বা প্রশিক্ষণের অভাবেই কী বন দফতরের কর্মীরা জখম হলেন?