প্রতিবেদন : ওয়েনাড়ের ভয়াবহ ভূমিধসে আটকে পড়া ৬ শিশুকে ৮ ঘণ্টার কঠিন অপারেশন চালিয়ে গভীর বনের ভেতর থেকে উদ্ধার করলেন বনকর্মীরা। আদিবাসী সম্প্রদায়ের এই শিশুদের বয়স ১ থেকে ৪ বছরের মধ্যে। কালপেট্টা রেঞ্জের ফরেস্ট অফিসার হাশিসের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার রাতে শুরু হয় এই উদ্ধার অভিযান। জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে কাদা-পাথরে ডুবে থাকা কঠিন পথ পার হয়ে তাঁরা তল্লাশি চালায় উপজাতি পরিবারের এই শিশুদের খোঁজে। অনেক খোঁজার পরে দেখা যায় ঘন জঙ্গলে পাথরের খাঁজে আটকে আছে তারা। কাদামাখা শিশুদের কোনওরকমে উদ্ধারের পর কঠিন পথ পার হয়ে ফেরার পালা।
আরও পড়ুন-অমিত মালব্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ সপার
ভূমিধসের পঞ্চম দিনে মৃত্যুসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫৭। ডিপ সার্চ রেডার দিয়ে শনিবার সেনাবাহিনী পরীক্ষা করে দেখে ধ্বংসস্তূপের তলায় এখনও কেউ জীবিত অবস্থায় আটকে আছে কিনা। নর্দার্ন কমান্ডের একটি জেভিয়ার রেডার এবং দিল্লির তিরঙ্গা মাউন্টেন রেসকিউ অর্গানাইজেশনের ৪টি রিকো রেডার এদিন বায়ুসেনার বিমান পাঠানো হয় ওয়ানড়ে।
আরও পড়ুন-ইজরায়েলে ভারতীয়দের প্রতি সতর্কবার্তা
কিন্তু এই ভয়ঙ্কর ভূমিধসের নেপথ্যে আসল কারণটা কী? দ্য ন্যাশনাল সেন্টার ফর আর্থ সায়েন্সেসের প্রাক্তন বিজ্ঞানী কে সোমনের মতে, ওয়েনাড়ের ধসের নেপথ্যে রয়েছে পাথরের ফাটল। ভেলারিমালায় ধসের ধরন দেখলেই বোঝা যাবে, দুটি উঁচু ভাগের মাঝের অংশ ধসে নেমে এসেছে নিচে। একে বলা হয় ‘স্যাডল’। হতে পারে ফাটল কিংবা ক্ষয়ের জন্য। চুনাপাথরেই এই ক্ষয় হয় সাধারণত। সম্ভবত এক্ষেত্রেও ভূমিধসের মূল কারণ পাথরের ফাটল। ক্রমাগত প্রবল বৃষ্টির জল ঢোকার ফলে ফাটল আরও চওড়া হয় এবং আলগাও হয়ে যায়। শেষপর্যন্ত পাহাড়ের ঢাল দিয়ে হুড়মুড়িয়ে নেমে আসে পাথর। পরিণতিতে ব্যাপক ভূমিধস।