৮৮ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন ইস্টবেঙ্গলের (EastBengal) প্রাক্তন অধিনায়ক চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় (Chandan Banerjee)। বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। জানা গিয়েছে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি
আরও পড়ুন-ইদ-উল-আযহা-র শুভেচ্ছাবার্তা অভিষেকের
১৯৫৪ সালে মিলন সমিতিতে সই করেছিলেন তিনি। তার পরের বছর ভবানীপুর ক্লাবে যান। সেখান থেকে জর্জ টেলিগ্রাফ। জর্জ টেলিগ্রাফের হয়ে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে নজরে আসেন তিনি। ছোট থেকে ইস্টবেঙ্গলে খেলার স্বপ্নপূরণ হয় ১৯৬৩ সালে। প্রথম লাল-হলুদে যোগ দেন তিনি সেই বছর।
আরও পড়ুন-তাঁর সুস্থতার জন্য সকলের শুভ কামনায় মুগ্ধ, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
১৯৬৬ সালে ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক হয় চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়। সে বার লিগ জেতে ইস্টবেঙ্গল। তার আগে মোহনবাগান টানা চার বার লিগ জিতেছিল। দলের ফুটবলার ও লাল-হলুদ সমর্থকেদের প্রিয় মানুষ ছিলেন তিনি। এদিন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় চন্দনের দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে। সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সমর্থকেরা।
আরও পড়ুন-বাতিল হচ্ছে বহু মেট্রো, সংকটে যাত্রীরা
বড় ফুটবলার যেমন ছিলেন, মানুষ হিসেবেও ছিলেন বিতর্কহীন, অজাতশত্রু। কাস্টমসে চাকরির কারণে ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে সেখানে খেলেই ফুটবলজীবন শেষ করেন চন্দন। এদিন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে আনা হয় তাঁর দেহ। শ্রদ্ধা জানান প্রাক্তন ফুটবলার এবং কর্তারা। কাস্টমস ক্লাবেও নিয়ে যাওয়া হয় মরদেহ।
সুকুমার সমাজপতি প্রয়াত ডিফেন্ডারের শেষ যাত্রায় ছিলেন। তিনি বলছিলেন, ‘‘চন্দনদা স্টপারে থাকলে ভরসা পেতাম। যেমন উঁচু মানের ডিফেন্ডার তেমনই একজন দাপুটে অধিনায়ক। অথচ, চন্দনদা শুরুতে হাফে খেলত। ইস্টবেঙ্গলে এসেই সেন্টার ব্যাকে খেলা শুরু করে এবং কেরিয়ার শেষ করে স্টপার হিসেবেই।’’