বঙ্গ তথা দেশের রাজনীতির এক মুনসিয়ানার অবসান। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফরাক্কার প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূল রাজ্য সহ-সভাপতি মইনুল হক প্রয়াত রবিবার ভোরে। সেই সঙ্গে মুর্শিদাবাদের দক্ষিণপন্থী রাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্য়ায়ের অবসান। রবিবার কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
আরও পড়ুন-সীমানায় পুনর্বিন্যাস কলকাতার পাঁচটি থানার, আজ থেকে কার্যকর
মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় কংগ্রেসের হাত ধরে রাজনীতিতে অবতরণ মইনুল হকের। মুর্শিদাবাদ, বীরভূম জেলার একাধিক তাবড় কংগ্রেস নেতা কর্মীর রাজনৈতিক পাঠদানের কাজ করেছিলেন মইনুল। ১৯৯৬ সালে প্রথমবার কংগ্রেসের তরফে নির্বাচনে লড়ে ফরাক্কা থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন তিনি। এরপর টানা পাঁচবারের কংগ্রেসেরই বিধায়ক ছিলেন তিনি। কংগ্রেস রাজনীতির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এতটাই গভীর ছিল যে দীর্ঘদিন তিনি এআইসিসি-র সদস্য ছিলেন। কংগ্রেস নেতৃত্ব তাঁর উপর আস্থা রেখে তাঁকে জম্মু ও কাশ্মীর এবং ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেসের পর্যবেক্ষকও নিয়োগ করা হয়।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী মনিরুল ইসলামের কাছে পরাজিত হন তিনি। এরপরই কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে সমস্যায় সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি দিয়ে কংগ্রেস ত্যাগ করেন তিনি। ২০২২ সালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। এরপর ফরাক্কার তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলামের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক আবারও সুগঠিত হয়। গত ২১ জুলাই কলকাতায় তৃণমূলের শহিদ সমাবেশে যোগ দেন তিনি। যদি তারপর থেকেই শারীরিক সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন। প্রায় তিন মাস কলকাতার একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। রবিবার ভোরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় রাজ্য সহ-সভাপতি মইনুল হকের।
তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানান, আমার রাজনৈতিক সহকর্মী মইনুল হকের প্রয়াণে গভীর শোকজ্ঞাপন করছি। তিনি ফরাক্কার প্রাক্তন বিধায়ক ছিলেন এবং গত কয়েক বছর ধরে দলের উচ্চ পর্যায়ে আমাদের সঙ্গে কাজ করেছেন। তাঁর পরিবার, বন্ধু এবং সমর্থকদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা জানাই।

