নিউ টাউনে ডাঃ দেবী শেঠির ১১০০ বেডের হাসপাতালের শিলান্যাস

বৃহস্পতিবার নিউ টাউনে ডাঃ দেবী শেঠির নারায়ণা হেল্থ সিটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মঞ্চেই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

Must read

প্রতিবেদন : বাংলায় স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছে আমাদের সরকার। বৃহস্পতিবার নিউ টাউনে ডাঃ দেবী শেঠির নারায়ণা হেল্থ সিটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মঞ্চেই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই সঙ্গে একের পর এক খতিয়ান তুলে ধরে দেখিয়ে দিলেন, ২০১১ সালে মা-মাটি-মানুষের সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলার স্বাস্থ্যক্ষেত্রে উন্নয়নের মানচিত্র কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে বিনামূল্যে চিকিৎসা থেকে শুরু করে ১৪ বছরে ১৪টি মেডিক্যাল কলেজে, ৪২টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, ৭১টি এসএনসি, ২৮৬টি এসএনএসইউ, ১৩৩৯২টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র যা বাড়বে আরও, ১৩টি চাইল্ড হাব, ১১৩টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র। কী করেনি মা-মাটি-মানুষের সরকার! মুখ্যমন্ত্রী যখনই খতিয়ান তুলে ধরছেন, তখনই হাততালির ঝড় বয়ে যাচ্ছে গোটা হলে। এদিন নিউ টাউনে প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ দেবী শেঠির হাসপাতাল উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১০ হাজার কর্মসংস্থান হবে। দেশের অন্যতম সেরা হাসপাতাল হতে চলেছে এটি। হৃদরোগ, ক্যানসার, ক্রিটিক্যাল কেয়ার-সহ অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থাও থাকছে এই হাসপাতালে।
ডাঃ শেঠি বলেন, আমি শিল্প সম্মেলনে এসে রাজ্য সরকারের একটি স্লোগানের কথা শুনেছিলাম। সেটি হল ‘বেঙ্গল মিনস বিজনেস’। এই হাসপাতাল তৈরি করতে এসে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারের তরফে যে ধরনের সহযোগিতা পেয়েছে তাতে এই স্লোগানটি যথার্থই সত্যি। এখানে নিশ্চিন্তে বিনিয়োগ করা যায়। এই হাসপাতাল সমাজের গরিব শ্রেণির মানুষের জন্য কাজ করবে বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন-গদ্দারের পথ ধরেই হিরণের অসভ্যতা, প্রিভিলেজ ঘোষণা

মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যক্ষেত্রের খতিয়ান দিতে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথীতে ১২ হাজার কোটি টাকা এখনও পর্যন্ত খরচ হয়েছে বলে জানান। হাসপাতালের জন্য আরও খরচ হয়েছে ২ হাজার কোটি। সব মিলিয়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে রাজ্য সরকারের। তাঁর সংযোজন শিশুসাথী প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার ৩২ হাজার শিশুকে বিনামূল্যে অস্ত্রোপচার করিয়েছে। চোখের আলো প্রকল্পে ২ কোটি ৩৩ লক্ষ মানুষকে বিনা পয়সায় চিকিৎসা করিয়েছে। ২০ লক্ষ ৩৬ হাজার মানুষের ছানি অপারেশন হয়েছে। ২৮ লক্ষ ৩৩ হাজার মানুষকে বিনা পয়সা চশমা দেওয়া হয়েছে। এই নজির ভারতবর্ষের কোথায় নেই।
এদিন কারও নাম না করেই বিরোধীদের কু-রুচিকর মন্তব্য ও কর্মকাণ্ড নিয়ে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেউ কেউ হিন্দু-মুসলমান, খ্রিস্টান, শিখ— এ-সবে ভাগ করে। কিন্তু আমাদের সরকার ও আমি কোনও ভেদাভেদ করি না। কারণ আমাদের কাছে সব ধর্মই সমান। সব ধর্মকে আমরা মর্যদা দিই। বাংলায় সকলেই একসঙ্গে একে-অপরের সুখ-দুঃখে শামিল হয়। এখানে ভেদাভেদের কোনও জায়গা নেই।

Latest article